নিজস্ব প্রতিবেদক: নানা জল্পনা-কল্পনা কাটিয়ে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলবে টাইগাররা। তবে এই সিরিজে মুশফিকুর রহীমকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমও এই সিরিজে খেলতে আগ্রহ জানিয়েছিলো। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বেঁধে দেয়া কঠিন করোনা প্রটোকল বা শর্তের কারণে মুশফিকুর রহীমকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে হঠাৎই করোনায় আক্রান্ত হন মুশফিকের বাবা-মা। দু’জনউ ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ না খেলে দেশে ফেরত আসেন মুশফিক।
ওদিকে অস্ট্রেলিয়ানরা কঠিন শর্ত এঁটে দিয়েছে যে, ‘তাদের সাথে যারা খেলবে, তাদের অবশ্যই ১০ দিনের জৈব সুরক্ষা বলয় আর না হয় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। মুশফিক দেশে ফিরে ওই কোয়ারেন্টাইন করার জন্য ১৪ দিন সময় হাতে ছিল না এবং কিংবা তিনি পড়ে যান জৈব সুরক্ষা বলয়ের বাইরে। যেখানে অন্তত ১০দিন থাকতে হতো তাকে।
যে কারণে আর তার পক্ষে আগস্ট ৩ আগস্ট থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া সিরিজ খেলা হচ্ছে না। দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার মত বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলা, অথচ তাতে সম্পূর্ণ সুস্থ থেকেও নেই মুশফিক। বিষয়টা মেনে নেয়া কষ্টকর বলে মন্তব্য করেন কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
তিনি বলেন এ সিরিজের আগে নির্ভরতার প্রতীক মুশফিককে খুব বেশি করে মনে পড়ছে এবং তার অনুভব অসিদের বেঁধে দেয়া কঠোর করোনা প্রটোকলের কারণেই মুশফিকের খেলা হচ্ছে না।
পুরো বিষয়টিকে হতাশা ও দুঃখজনক বলে অভিহিত করে ডোমিঙ্গো বলেন, ‘জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার এ কঠোর করোনা প্রটোকল আমি মোটেই মেনে নিতে পারছি না। এবং তারা (অস্ট্রেলিয়ানরা) যেভাবে পুরো বিষয়টিকে দেখেছে সেটাই খুব হতাশার।’
টাইগার কোচের দাবি ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনই ছিল যথেষ্ঠ। এদিকে কঠিন বাস্তবতা হলো, অসিদের বিপক্ষে মুশফিকুর রহীমের মত অপরিহার্য আর নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটারকে ছাড়াই খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
মুশফিকের না থাকা অনেক বড় ক্ষতি- এ কথা স্বীকার করে বাংলাদেশের কোচ বলেছেন আমরা বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষে খেলবো। এটা অন্যদের জন্য এবং জনা কয়েক তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য বড় সুযোগ। আমি বিশ্বাস করি, তারা তাদের সামর্থ্য আছে।
মুশফিক ইস্যুতে কোচের শেষ কথা, ‘আমাদের অনেক বড় স্কোয়াড আছে এবং কোয়ালিটি প্লেয়ারও আছে তাকে রিপ্লেস করার মত।’
দলের দুই নিয়মিত ক্রিকেটার না থাকায় ডমিঙ্গো অন্যদের জন্য বড় সুযোগ দেখছেন, ‘মিডিয়া যাদেরকে ফ্রিঞ্জ খেলোয়াড় বলছে তাদেরকে আমি নিশ্চয়ই পরখ করব। তাদের থেকে বড় কিছুর প্রত্যাশায় থাকব। যেমন সৌম্য, নাঈম, শরিফুল… তারা প্রত্যেকে জিম্বাবুয়েতে সিরিজ জিততে অবদান রেখেছে। একই পারফরম্যান্স চাই তাদের থেকে। আমি জানি যে আমরা পূর্ণাঙ্গ দল সাজাতে পারিনি। আমাদেরকে আরও পথ যেতে হবে। তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে অভিজ্ঞরা মিলেই ভালো দল সাজাতে পারে।’
সাননিউজ/এএসএম