স্পোর্টস ডেস্ক: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৯৪ রান। অপরাজিত রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৫৪) এবং তাসকিন আহমেদ (১৩)। প্রথম দিনে টপঅর্ডারের ব্যর্থতা দেখেছে বাংলাদেশ।
পরে অবশ্য মুমিনুলের সামনে থেকে নেতৃত্ব এবং লিটন-রিয়াদের ব্যাটে দল অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আলো কম থাকায় ৭ ওভার বাকি থাকতেই খেলা শেষ হয়েছে।
বুধবার (০৭ জুলাই) হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। ইনজুরির কারণে একাদশে নেই অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় মাত্র ৮ রানে ২ উইকেট হারায় সফরকারীরা। ব্লেসিং মুজারবানির শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার সাইফ হাসান (০) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (২)।
অধিনায়ক মুমিনুল হকের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬০ রান তোলেন সাদমান ইসলাম। ৬৪ বলে ৪টি চারে ২৩ রান করে আউট হন। দলের বিপর্যয়ে ব্যাটিং শুরু করেন মুমিনুল হক। সেখান থেকে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফসেঞ্চুরি পূরণ করলেন। একইসঙ্গে দলীয় শতক পার করে বাংলাদেশ।
মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান পর পর দুই ওভারে বিদায় নেন। সতীর্থরা একে একে মাঠ ছাড়লেও দারুণ অধিনায়কসূলভ ইনিংস খেলে যাচ্ছিলেন মুমিনুল হক। তবে ৯২ বলে ১৩টি চারের সাহায্যে ব্যক্তিগত ৭০ রানে ভিক্টর নিয়াচির বলে আউট হন তিনি।
মুমিনুল হকের বিদায়ের পর লিটন দাশ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে ভর করে দলীয় ২০০ রানের দেখা পায় বাংলাদেশ।
খুব কাছে গিয়েও অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরি পাওয়া হলো না লিটন দাশের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দল যখন বিপর্যয়ে, তখন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গী করে দারুণভাবে ব্যাট করে যাচ্ছিলেন এই ডানহাতি। তবে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থাকতে বিদায় নিলেন। ডোনাল্ড ট্রিপানোর বলে পুল করতে গিয়ে থার্ডম্যান অঞ্চলে থাকা ভিক্টর নিয়াচিকে ক্যাচ দেন তিনি। ১৪৭ বলে ১৩টি চারে ৯৫ রান করেন লিটন। সপ্তম উইকেট জুটিতে রিয়াদের সঙ্গে ১৩৮ রান তোলেন তিনি। এরপর একই ওভারে দ্বিতীয় বলে নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ এলবির শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন।
সান নিউজ/এমআর