নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ আমাদের সবসময় সাহস ও প্রেরণা জোগায়। এই মহান নেতার অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ হচ্ছে না
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা জানান।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে শেখ হাসিনা জানান, বরেণ্য এ রাজনীতিবিদ ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতে মৃত্যুবরণ করেন। হাইকোর্টের পাশে ৩ নেতার মাজারে তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছে। তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এই উপমহাদেশের মেহনতি মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে সোচ্চার ও সংগঠিত করেছিলেন। প্রতিভাবান একজন রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে তার দক্ষ পরিচালনায় গণমানুষের সংগঠন বাংলাদেশ আ’লীগ আরও বিকশিত হয়।
আরও পড়ুন: মনোনয়ন যাচাইয়ের শেষ দিন আজ
তিনি জানান, সোহরাওয়ার্দীর সুযোগ্য উত্তরসূরী জাতির পিতার দূরদর্শী নেতৃত্ব পাকিস্তান সরকারের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে। শেখ মুজিবের দীর্ঘ ২৪ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একজন উদার ও প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ। সাধারণ মানুষের প্রতি ছিল অকৃত্রিম মমত্ববোধ। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিকাশ ও এ অঞ্চলের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সারাজীবন কাজ করেছেন তিনি। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
সান নিউজ/এএ