নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা ৯ কার্য দিবস চলার পর একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪ তম অধিবেশন শেষ হলো। এ অধিবেশনে ১৮ টি বিল পাস হয়েছে।
আরও পড়ুন: আজ ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮ টা ৪০ মিনিটে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে ডিপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এ অধিবেশনের সমাপ্তির ঘোষণা করেন।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর ২৪ তম অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনে ৯ কার্যদিবসের মধ্যে প্রথম দিন শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে মুলতবি করা হয়। বাকি ৮ দিনে ১৮ টি বিল পাস হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা আজ
এ অধিবেশনে সরকারি বিল আসে ৩৫ টি। এর মধ্যে- গত ৪ সেপ্টেম্বর পাস হয় ২ টি বিল, ৫ সেপ্টেম্বর ২ টি, ৯ সেপ্টেম্বর ২ টি, ১০ সেপ্টেম্বর ২ টি, ১১ সেপ্টেম্বর ২ টি, ১২ সেপ্টেম্বর ৩ টি, ১৩ সেপ্টেম্বর ৩ টি এবং শেষ দিন ১৪ সেপ্টেম্বর ২ টি বিল পাস হয়েছে।
বুধবারের (১৩ সেপ্টেম্বর) অধিবেশনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত ‘সাইবার সিকিউরিটি বিল-২০২৩’ ও ‘সংসদে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে।
আরও পড়ুন: শনিবার দেশে ফিরছেন রাষ্ট্রপতি
এ দিন অধিবেশনে সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এবারের অধিবেশন শুরু হয়েছিল ৩ সেপ্টেম্বর। ১৪ সেপ্টেম্বর অধিবেশন শেষ হচ্ছে। ১৮ টি বিল এ অধিবেশনে পাস হয়েছে। পাসের অপেক্ষায় রয়ে গেছে ৫ টি বিল।
তিনি বলেন, আশা করি, আগামী যে অধিবেশন হবে, সেখানে সেটা আমরা করতে পারবো। ৩ টি কমিটিও পুনর্গঠিত হয়েছে। স্থায়ী কমিটির ১৭ টি রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির কার্যক্রম রিপোর্ট উপস্থিত হয়েছে ৩০ টি। এবারের অধিবেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
আরও পড়ুন: লিবিয়া যাচ্ছে বাংলাদেশের ত্রাণ
তিনি আরও বলেন, চলতি সংসদের শেষ অধিবেশন অক্টোবরে হবে। ইনশাল্লাহ অক্টোবরে আরেকটা সেশন বসবে। সেটা হবে আমাদের সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ অধিবেশন। এরপর নির্বাচন হবে।
নির্বাচনে যদি জনগণ আমাদের আবার ভোট দেয়, আবার এদিকে (সরকারি দলের আসনে) আসবো। না দিলে ঐ দিকে (বিরোধী দলের আসনে) বসবো। কোনো অসুবিধা নেই। আমরা সেটা জনগণের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। আমাদের মাতৃভূমিকে এমনভাবে গড়ে তুলি, যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এর সুফল ভোগ করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সাল নাগাদ উচ্চ অর্থনীতির ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সংসদ সদস্যরা অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন, সেটি অব্যাহত থাকবে।
সান নিউজ/এনজে