ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
জাতীয় বাজেট

সঞ্চয়পত্রে নির্ভরতা কমাচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে বাজেটের ঘাটতি পূরণে সরকার সঞ্চয়পত্রের নির্ভরতা কমিয়ে ফেলেছে।

আরও পড়ুন : উন্নয়নে সামাজিক মূলধনের ভূমিকা

এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ঠিক করছে সরকার, যা চলতি অর্থ বছরের চেয়ে ৪৮.৫৭ শতাংশ বা ১৭ হাজার কোটি টাকা কম। চলতি অর্থ বছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আরও পড়ুন : কসোভোকে শাস্তি দিলো যুক্তরাষ্ট্র

এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩ তম ও বাংলাদেশের ৫২ তম বাজেট।

অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা যায়, আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাবের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন : হাতিয়াতে ৩০ জেলে আটক

বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৫.২ শতাংশ।

আয়-ব্যয়ের বিশাল এ ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের উপর ভরসা করছে সরকার।

এবারের বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।

আরও পড়ুন : নিউজিল্যান্ড ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প

কর বহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

আসছে বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে (অনুদান ছাড়া) দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদানসহ এ ঘাটতি দাঁড়ায় দুই লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ ঘাটতি পূরণে কোন খাত থেকে কত টাকা ঋণ নেবে তারও একটি ছক তৈরি করেছে সরকার।

এ ছক অনুযায়ী, সরকার অভ্যন্তরীণ ঋণ নেবে এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ও বৈদেশিক ঋণ হিসাবে নেবে এক লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। চলতি অর্থ বছরের বাজেটে যা আছে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন : বাড়ছে তীব্র খাদ্য সংকট!

অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিতে চায় সরকার। যার পরিমাণ ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। এরপর সঞ্চয়পত্র থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা
এবং অন্যান্য খাত থেকে ৫ হাজার এক কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ হালনাগাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) যে পরিমাণ সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে, তা দিয়ে গ্রাহকদের আগে বিনিয়োগ করা সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। উল্টো ৪ হাজার ১৬১ কোটি টাকা সরকার তার কোষাগার ও ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করেছে।

আরও পড়ুন : ডেঙ্গু নির্দেশনা: রিহ্যাব সদস্যদের চিঠি

চলতি বছরের মার্চে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৭ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকার। এর বিপরীতে ঐ মাসে মূল ও মুনাফা বাবদ সরকারকে পরিশোধ করতে হয়েছে ৭ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা। এ সময় বিক্রির চেয়ে পরিশোধের পরিমাণ বেশি। অর্থাৎ নিট বিক্রির ঘাটতি (ঋণাত্বক) দাঁড়িয়েছে ৬৫২ কোটি টাকা।

আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধের পর যা অবশিষ্ট থাকে, তাকে বলা হয় নিট বিক্রি। ঐ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা থাকে।

চলতি অর্থ বছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ৬২ হাজার ৬৫৭ কোটি ৫১ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। বিপরীতে মুনাফা ও মূল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৬৬ হাজার ৮১৯ কোটি ৮ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন : পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

সব মিলিয়ে ৯ মাসে যা বিনিয়োগ হয়েছে তার চেয়ে ৪ হাজার ১৬১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে সরকার। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার কোনো ঋণ পায়নি। উল্টো আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের নগদায়নের চাপে মূল ও মুনাফাসহ ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে।

সর্বশেষ চলতি অর্থ বছর ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ থাকলে রিটার্নের সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব রকম সঞ্চয়পত্রের সুদহার ২ শতাংশের মতো কমিয়ে দেয় সরকার। এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ সীমা কমিয়ে আনা হয়।

এছাড়া ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে মুনাফার ওপর উৎসে করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। দুর্নীতি বা কালো টাকায় সঞ্চয়পত্র কেনা বন্ধে ক্রেতার তথ্যের একটি ডাটাবেজ তৈরি হয়েছে। এসব কড়াকড়ির প্রভাবে বর্তমানে সঞ্চয়পত্র বিক্রি তলানিতে ঠেকেছে।

আরও পড়ুন : আজ ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর

বর্তমানে ৪ ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে। পাঁচ বছর মেয়াদি পরিবার সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১.৫২, পাঁচ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে ১১.৭৬, পাঁচ বছর মেয়াদি মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে ১১.২৮, তিন বছর মেয়াদি ও তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের সুদহার ১১.৪ শতাংশ।

কয়েক দফায় সঞ্চয়পত্রের সুদ হার কমানো হলেও এখনো তা ব্যাংকের তুলনায় বেশি।

বাজেট ঘাটতি মেটাতে চলতি অর্থ বছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকলেও সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এর বিপরীতে প্রথম ৯ মাসে এ খাত থেকে কোনো ঋণ পায়নি সরকার। উল্টো কোষাগার ও ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করা হয়েছে।

সান নিউজ/এনজে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা একমাস দাবদ...

মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মৃত্যুর জাল সনদ তৈরির অভিযোগে প্রতারণা ও জ...

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি’র প্রয়াণ

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

আমিরাতে প্রবল বৃষ্টিপাত, সতর্কতা জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টিপা...

ভরিতে ১৮৭৮ টাকা কমলো স্বর্ণের দাম 

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা অষ্টমবারের...

নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীতে পৃথক পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহ...

বাংলাদেশের শান্তির সংস্কৃতি প্রস্তাব গৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি&...

জগজিৎ সিং অরোরা’র প্রয়াণ

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ শুক্রবার (৩ মে) বেশ কিছু খ...

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

সান নিউজ ডেস্ক: প্রতি সপ্তাহের একেক দিন বন্ধ থাকে রাজধানীর ব...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা