সান নিউজ ডেস্ক: চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে টানা ৩৪ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের দৈনিক ভাউচারভিত্তিক কর্মচারীরা। গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে চলমান এই কর্মসূচি এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো সাড়া মেলেনি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: গ্রহণযোগ্য নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ
“আজকের এইদিনে মুজিব তোমায় মনে পড়ে” “চাকরি চাকরি চাকরি চাই, বাঁচার মতো বাঁচতে চাই” “আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করতে হবে” এমন স্লোগান তুলে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দাবি আদায়ের জন্য অবস্থান করছেন এই কর্মচারীরা। তবে কর্তৃপক্ষের সাড়া না পাওয়ায় কিছুটা হতাশায় ভুগলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে চাওয়ার কথা জানান তারা।
আন্দোলনরত এক কর্মচারীরা বলেন, ‘আমরা ১৫ থেকে ২০ বছর যাবৎ তাদের সেবা করে আসছি কিন্তু বিনিময়ে মাসে মাত্র ১১ হাজার টাকা মজুরী পাই। এই সামান্য টাকায় পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছি। হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও আমরা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের একটাই দাবি আমরা চাকরির স্থায়ীকরণ চাই।’
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বরে সর্বোচ্চ হাসপাতালে ভর্তি
আন্দোলনরত এক নারী কর্মচারীরা বলেন, ‘আমি গত ১৬ বছর থেকে তাদের এই চাকরি করছি , এই বয়সে এসে আমি বড় অসহায়। যে পরিমান টাকা মজুরী পাই সেটা দিয়ে সংসারের খরচ ঠিক মতো চলেন। হঠাৎ অসুস্থ হলে মানুষের দুয়ারে হাত পাততে হয়। আমি চাকরির স্থায়ীকরণ চাই, বাকি জীবনের নিরাপত্তা চাই।’
এবিষয়ে আন্দোলনের সমন্বয়ক মনির হোসেন শোভন বলেন, ‘দৈনিক ভাউচারভিত্তিক মজুরীতে নিয়োগকৃত শ্রমিকদের কাজের মেয়াদ ১৩ বছর পূর্ণ হলে তাকে রাজস্ব খাতে আনায়নের নীতিমালা রয়েছে। ইতিপূর্বে হাইকোর্টের রায়ের আলোকে আমাদের ১৫১৭ জন কর্মচারীর মধ্যে ৪২ জনকে চাকুরিতে স্থায়ীকরণ করা হয়েছে। সেই আলোকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত একটি স্বারক গত ২ ডিসেম্বর-২০২০ তারিখে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর আমাদের তথ্যাবলী সংক্রান্ত নামের তালিকা চেয়ে চিঠি প্রেরণ করেন। দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সে বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি । এজন্য গত ১৪ অক্টোবর থেকে আমরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানকে দেখার ইচ্ছা নেই
তিনি বলেন, ‘আমরা মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী’র দপ্তর পর্যন্ত প্রায় সব জায়গায় দাবি জানিয়েছি, কেউই আমাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। আমাদের পরিবারের হাহাকার, আমাদের কান্না কেউ শুনছেনা । আমরা পরিবার নিয়ে খেয়ে-পরে বাঁচার জন্য আমাদের ন্যায্য অধিকার, চাকরিরস্থায়ী করণ চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই অবস্থান কর্মসূচি বন্ধের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
সান নিউজ/কেএমএল