সান নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির মামলায় ৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকন্যা নজির সৃষ্টি করেছেন
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য ৩ মাসের মধ্যে পেপারবুক প্রস্তুত করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: গুম-খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল জিয়া
বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে আজ দুদকের আপিলের পক্ষে শুনানি করেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আরও পড়ুন: বাঁচতে হলে ইউক্রেন ছাড়তে হবে
এর আগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্ল্যানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।
গত ১২ মে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন ১২ বছর কারাদণ্ড এবং ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাঁচতে হলে ইউক্রেন ছাড়তে হবে
রফিকুল আমিনসহ মামলার ৪৬ জন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং তাদেরকে মোট ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে আসামি হারুন-অর-রশীদকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। সেইসঙ্গে তাকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সান নিউজ/এমআর