সান নিউজ ডেস্ক: রাত ১০টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন। তিনি বলেন, ‘কনটেইনারগুলো সরানো হচ্ছে, হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসবে।’
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড অগ্নিকান্ডে নিহত বেড়ে ৪৯
রোববার (৫ জুন) বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন বলেন, প্রথমে আমরা চট্টগ্রাম সামরিক হাসপাতালকে প্রস্তুত করার জন্য নির্দেশ পেয়েছিলাম। ফায়ার সার্ভিসের যারা আহত ছিলেন তাদের ভর্তি করা হয়। সিএমএইচ ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছয়জনকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই এলাকায় জনসমাগম খুব বেশি ছিল। যে কারণে আহত ও ক্ষতি বেশি হয়েছে।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা এই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেছে যাতে আরও বেশি জনসমাগম ও নাশকতামূলক কোনো কার্যক্রম পরিচালিত না হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে দুটি ড্রেন ছিল, যা বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত। এই ড্রেন দিয়ে কেমিক্যাল চলে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার টিম ড্রেনগুলো ব্লক করে দিয়েছে এবং ড্রেন দিয়ে কেমিক্যাল যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া আর কোনো সহায়তা করার প্রয়োজন হলে তা আমরা করবো।
এর আগে শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এসময় এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে ছড়িয়ে পড়তে থাকে আগুন। কিছু কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। ভেঙে পড়ে আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান আগুন নেভাতে পাঠাচ্ছে হেলিকপ্টার
রোববার (৫ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী। এর মধ্যে আটজন ফায়ার সার্ভিস কর্মী। দগ্ধ ও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২ শতাধিক মানুষ।
সান নিউজ/এফএ