নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকে যারা মানবাধিকারের কথা বলে বাংলাদেশের পা টেনে ধরতে চেয়েছে তাদের নিজের দেশেই মানবাধিকারের কোনো খবর নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে যারা মানবাধিকারের ধোঁয়া তোলেন, বিভিন্ন রাষ্ট্র মানবাধিকারের ধোঁয়া তোলেন, সেসব দেশে মানবাধিকারের কোনো খবর নেই। রাস্তার মধ্যে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়, টেলিভিশনে তা সম্প্রচার হয়। ইসরাইলে যখন ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার রক্ষার জন্য, তাদের মানবাধিকার রক্ষার জন্য যখন ইসরায়েলি বাহিনীর দিকে ঢিল ছোড়ে, তার প্রতি উত্তরে ব্রাশফায়ার করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। সেটার বিরুদ্ধে একটি বাক্যও নেই।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য বাংলাদেশের পা টেনে ধরতে হবে। টেনে ধরার উপায় কী? মানবাধিকার। নিজের দেশে মানবাধিকারের কোনো খবর নেই, টেনে ধরার উপায় হচ্ছে মানবাধিকার। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের স্বাধীনতা যাতে না হয় সেজন্য অনেকে পা টেনে ধরার চেষ্টা করেছিল। সেই প্রতিবন্ধকতা উপড়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। এখনো কেউ পা টেনে ধরে আমাদের দমাতে পারবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এই এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকবে এবং দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের হত্যাকাণ্ড দেশের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন। যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, তাকে পরিবারসহ হত্যা করা হয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করাই সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন। যারা দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অংশ নিয়ে যুদ্ধাপরাধ করেছে, সেটিও মানবাধিকার লঙ্ঘন। ২১ আগস্টের ঘটনাও এ দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নিজের ঘরে আপনাকে যিনি হেল্প করে, কাজের মেয়ে বা কাজের ছেলে, তার যে অধিকার আছে, মানবাধিকার আছে, তা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নিজের ড্রাইভার, তারও অধিকার আছে, মানবাধিকার আছে, সেটিরও সুরক্ষা করতে হবে। আর যেসব রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের পা টেনে ধরার চেষ্টা করে তাদেরও অনুরোধ করবো, নিজের দেশে আগে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। নিজের দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা না করে অন্য দেশের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না।
সাননিউজ/জেএস