নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝালকাঠি সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ আরেক জনের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম, মোছাঃ শাহিনুর বেগম (৪৫)। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে মারা যান তিনি।
জানা গেছে, সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুনের ঘটনায় একই পরিবারের দুই সন্তানসহ ৪ জন দগ্ধ ছিল। তারা হচ্ছেন, মোঃ বাচ্চু মিয়া (৫১) তার স্ত্রী শাহিনুর খাতুন (৪৫), মেয়ে ইশরাত জাহান সাদিয়া (২২)ও ছেলে সাইফুল্লাহ মুন্সি সাদিক (১৬)।
এদের মধ্যে বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার শরিসাপুর গ্রামের বাড়ি। তবে তারা কেরানীগঞ্জ জিনজিরা এলাকায় থাকেন। বাচ্চু মিয়া ফার্মেসী ব্যবসায়ী। তার বাবা অসুস্থ থাকায়, চার বছর পর স্ব-পরিবারে কেরানীগঞ্জ জিনজিরা থেকে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি।
দগ্ধদের মধ্যে সাদিকের সামান্য, বাচ্চু মিয়ার ৪ শতাংশ, স্ত্রী'র ৩০ শতাংশ, মেয়ের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে সাদিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। আজ তার মা শাহিনুর খাতুন মারা গেলেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন। তিনি জানান, শাহিনুর বেগমের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিনে বিস্ফোরণের পর পুরো লঞ্চে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। লঞ্চটি ভাসতে ভাসতে পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরি এলাকার সুগন্ধা নদীর তীরে আটকে যায়। অগ্নিকাণ্ডে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে আহত ৮১ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বলেও তিনি জানান। এর মধ্যে ৪৬ জনের চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১৬ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নিহত ৪২ জনের ৩৮ জনই বরগুনার বাসিন্দা।
সান নিউজ/মোস্তাফিজ/ এমকেএইচ