নিজস্ব প্রতিবেদক : সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণের (৩৬) পাঁচ টুকরা লাশ উদ্ধার করেছে র্যাব। সোমবার (৯ আগস্ট) বেলা ১টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির শহীদ মিনারের সামনে দেয়ালের পাশে গর্ত করে লাশের খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করা হয়।
রাজধানীর দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকার একটি ডোবায় অধ্যক্ষের মরদেহের বাকি অংশ খুঁজতে অভিযান চালাবে র্যাব।
র্যাব জানিয়েছে, স্কুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মিন্টু বর্মণকে খুন করা হয়। পরিকল্পনা করেন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই সহপ্রতিষ্ঠাতা রবিউল ইসলাম ও মোতালেব। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন রবিউল ও তাঁর ভাগনে রহিম বাদশা। মিন্টু বর্মণকে হত্যার পর লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠে পুঁতে ফেলা হয়। দেহ থেকে মিন্টুর মাথা বিচ্ছিন্ন করে উত্তরায় একটি ডোবায় ফেলা দেয়া হয়। হত্যায় জড়িত তিনজনই আটক হয়েছে। তারা র্যাবের অভিযান দলের সঙ্গে রয়েছেন। এর আগে ২৮ দিন আগে মিন্টু নিখোঁজ হন।
র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া সেল থেকে সোমবার সকালে এক বার্তায় গণমাধ্যমকে এ অভিযানের কথা জানানো হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় মিন্টু বর্মণের লাশ উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।
মিন্টু চন্দ্র বর্মণ সাত বছর ধরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি সেখানকার আমিন মডেল টাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করতেন। দুই বছর আগে (২০১৯ সাল) মিন্টু চন্দ্র বর্মণসহ চারজন মিলে জামগড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়েন। অন্য তিন সহপ্রতিষ্ঠাতা হলেন রবিউল ইসলাম, মোতালেব ও শামসুজ্জামান। মিন্টু চন্দ্র বর্মণ ছিলেন এর অধ্যক্ষ। গত ১৩ জুলাই থেকে তার সন্ধান মিলছিল না।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাদের ভাষ্যমতে, স্কুলের শ্রেণিকক্ষেই মিন্টু বর্মণকে কুপিয়ে খুন করা হয়। লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠেই পুঁতে ফেলা হয়। এরপর বিচ্ছিন্ন মাথা ফেলা হয় দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকায়। আটক সবাই খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
সাননিউজ/এমএইচ