নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় যখন হিমশিম খাচ্ছে ঠিক তখনই ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছে বাংলাদেশ। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে বিশ্বব্যাংক।
সোমবার (১২ এপ্রিল) প্রকাশিত বাংলাদেশ আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানাগেছে, গ্যাভি কোভ্যাক্স সুবিধা থেকে বাংলাদেশ এ ভ্যাকসিন পাচ্ছে। প্রতিজন দুই ডোজ করে এই ভ্যাকসিন পাবেন। মোট জনসংখ্যার শতকরা ২০ শতাংশ হারে ধাপে ধাপে বাংলাদেশ এই ভ্যাকসিন পাবে।
প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি মিয়াং টেম্বন বলেন, টিকা প্রাপ্তি নিয়ে বৈশ্বিকভাবে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে বাংলাদেশ কোভ্যাক্স থেকে টিকা খুব শিগগিরই পাবে।
প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে বিশ্বব্যাংকের দেশীয় পরিচালক মার্সি টেম্বন সাংবাদিকদের ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বলেন, ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিয়ে বৈশ্বিকভাবে অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে বাংলাদেশ কোভ্যাক্স থেকে ভ্যাকসিন খুব শিগগিরই পাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের ভ্যাকসিন কিনতে অর্থের কোনও সমস্যা নেই। বিশ্বব্যাংকও ৫০ কোটি ডলার দিতে যাচ্ছে যা দিয়ে দেশের তিন ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন কেনা যাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনিশ্চয়তার মধ্যেও বাংলাদেশে শিগগিরই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের টিকার জন্য আগামী মে মাসের শুরুতে বাংলাদেশ বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে ৬ দশমিক ৮ কোটি টিকা পাবে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।
আরও বলা হয়েছে, কোভিড ১৯-এর কারণে তৈরি অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক। পুনরুদ্ধারের গতি বেশিরভাগের ওপর নির্ভর করে দ্রুত টিকা কীভাবে অর্জন করা যায়। মুদ্রাস্ফীতি বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি থাকতে পারে।
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। তবে যদি চলমান টিকার প্রয়োগ কার্যক্রম অব্যাহত থাকে, কঠোর লকডাউন কার্যকর হয় এবং দ্রুত বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ায় তাহলেই এ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে।
সান নিউজ/এমআর/এম