নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। করোনার প্রভাব কিছুটা কমতে শুরু করার পর গত বছরের শেষ দিক থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা, পরীক্ষা নেওয়াসহ নানা বিষয়ে একেক সময় একেক রকম কথাবার্তা শোনা গেছে মন্ত্রণালয় থেকে। চলতি মাস থেকে দেশের একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরাসরি ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরতে দাবি জানাতে থাকে। এর মধ্যে আবারও ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে পরীক্ষা স্থগিত করা হলে চলমান পরীক্ষা সম্পন্ন করতে আন্দোলন শুরু করেন ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে আবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্টদের এমন খামখেয়ালিপনা সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়ছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা। এদিকে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে আন্দোলনের মাঠে রয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসছে ছয় মন্ত্রণালয়। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. শাফায়াত মাহবুব চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সান নিউজ/এসএম