জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হবে

সান নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ ও ভারত দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদান চিরস্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের দেশের প্রায় এক কোটি মানুষকে ভারত যেমন আশ্রয়-খাদ্য-রসদসহ সব রকম সহায়তা দিয়েছে, তেমনি হাজার হাজার ভারতীয় সেনা এদেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। সে কারণে আমাদের দু’দেশের বন্ধুত্ব রক্তের অক্ষরে লেখা।’

প্রধানমন্ত্রী ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ প্রত্যাশার কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতার বিখ্যাত ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাঙালির ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের প্রাক্কালে এবং জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকীতে বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহায়তায় মহান দিবসটি উপলক্ষে সেই ঐতিহ্যবাহী প্যারেড গ্রাউন্ডে যে স্মরণসভার আয়োজন করেছে, তা একটি মাইলফলক উদ্যোগ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজ) থেকে বঙ্গবন্ধু উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এ সময়েই তিনি জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং শুদ্ধ রাজনীতির চর্চা ও গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন। সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রের অনন্য সম্মিলনে ধর্মনিরপেক্ষতা কীভাবে সমাজজীবনকে বদলে দিতে পারে, তা তিনি কলকাতা শহরে ছাত্রাবস্থাতেই রপ্ত করেছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বাঙালি জাতির পিতার প্রতি তাদের আগ্রহ ছিল সীমাহীন। শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে কলকাতায় যাত্রা বিরতি করবেন, এমনটাই ভেবেছিল কলকাতাবাসী। কিন্তু জাতির পিতা স্বাধীন দেশের মাটিতে আগে যেতে চেয়েছিলেন বলে ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ দিল্লী থেকে সরাসরি ঢাকা যাওয়ার পথে কলকাতার দমদম বিমানবন্দরে বার্তা পাঠান যে, তিনি অতি শিগগিরই কলকাতা আসবেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরবর্তীতে জাতির পিতা ১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তিনদিনের সফরে কলকাতায় যান এবং ঐতিহাসিক ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের জনসভায় ইন্দিরা গান্ধীর উপস্থিতিতে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেদিন তিনি উত্তাল জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চিরদিন অটুট থাকবে।’ তিনি পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং আসামের জনগণের প্রতিও বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনা প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণের মাহেদ্রক্ষণে বঙ্গবন্ধুকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তার আত্মার শান্তি কামনা করেন। একইসঙ্গে তিনি গভীর কৃতজ্ঞাভরে স্মরণ করেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণের একাত্মতা ও আত্মত্যাগ। খবর বাসস।

সান নিউজ/এসএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে বিপ্লবী হাদির দাফন সম্পন্ন

ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি প্রাঙ্গণে।...

ঝালকাঠিতে শোকে স্তব্ধ ওসমান হাদির গ্রামের বাড়ি

দক্ষিনের জেলা ঝালকাঠিতে শোকে স্তব্ধ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হ...

বিপ্লবী হাদির জানাজা সম্পন্ন

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সম্...

কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশেই হাদির কবর খনন

হাদির কবর খননের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় আশপাশে অনেক মানুষের ভিড় লক্ষ্য...

কুষ্টিয়ায় ওসমান হাদীর গায়েবানা জানাজা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই যোদ্ধা শহীদ শরীফ ওসমান হাদীর গায়েবানা জানাজা...

ঝালকাঠিতে শোকে স্তব্ধ ওসমান হাদির গ্রামের বাড়ি

দক্ষিনের জেলা ঝালকাঠিতে শোকে স্তব্ধ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হ...

বিপ্লবী হাদি বেঁচে থাকবেন গণমানুষের মনিকোঠায় : বাংলাদেশ ন্যাপ

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বীর সেনানী শরীফ ওসমান হাদির ইন্তেকালে গভীর শোক ও...

কুষ্টিয়ায় হাদি হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, কফিন মিছিল ও গায়েবানা জানাজা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই যোদ্ধা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্...

কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে বিপ্লবী হাদির দাফন সম্পন্ন

ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি প্রাঙ্গণে।...

হাদির মৃত্যুতে জাতিসংঘ মহাসচিবের শোক প্রকাশ

ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুত...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা