জাতীয়

রোহিঙ্গা ইস্যুতে নমনীয় মিয়ানমার

সান নিউজ ডেস্ক : নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নেয়ার বিষয়ে কিছুটা নমনীয় অবস্থান দেখিয়েছে মিয়ানমার। এ ইস্যুতে আলোচনার লক্ষ্যে মঙ্গলবার বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে ত্রিপক্ষীয় ভার্চুয়াল বৈঠকে এ নমনীয় অবস্থান দেখায় দেশটি।

আলোচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দ্রুত এই রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে একমত পোষণ করেছে চীন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার।

চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারের সঙ্গে এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর আশা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ইতোপূর্বে যেহেতু দুইটা ডেট দিয়ে আমরা সফল হতে পারিনি, এখন সেগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে কীভাবে সফল হওয়া যায়, সেই চেষ্টাই থাকবে আমাদের। আমরা সিনসিয়ারলি এঙ্গেজড থাকব। আমাদের ডিপ্লোমেটিক ভাষায় বলে- আমরা চেষ্টা করে যাব, উইথ অল আওয়ার হার্ট অ্যান্ড সউল।

মিয়ানমারে ২০১৭ সালের আগস্টে শুরু হওয়া সামরিক বাহিনীর নিরাপত্তা অভিযানে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্বিচারে দমন-পীড়ন চালানো হয়। ওই সময়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালের অভিযানের পর যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে; তাদের নাম, পরিচয় ও রাখাইন রাজ্যের কোন এলাকা থেকে এসেছে তার বিস্তারিত বিবরণসহ বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।

নিবন্ধনের তথ্য মোতাবেক, মিয়ানমারের অভিযানের পর আট লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এই তালিকা মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মিয়ানমার তালিকা থেকে ৪২ হাজার রোহিঙ্গা নাম যাচাই করেছে। তার মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ নাম মিয়ানমার প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে প্রায় ২৮ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ক্লিয়ার করেছে। কিন্তু তার মধ্যে কোনো রোহিঙ্গাকে এখনো ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে কি না- তা নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থার অভাব দেখা দিয়েছে। এ কারণে দুই দফায় ফেরত পাঠানোর আয়োজন করা হলেও রোহিঙ্গাদের কেউ রাখাইন রাজ্যে ফিরে যেতে চাননি। তারপর কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হলে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে যায়। তার ওপর মিয়ানমারে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সব মিলিয়ে করোনা ও নির্বাচনের অজুহাত দেখিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার গতি ধীর করছে।

এদিকে সেনা অভিযান ও উগ্র বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তাড়া খেয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা আট লাখ ৩০ হাজার বলে নিবন্ধন করা সম্ভব হলেও আগে থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বাস করছে। তারা বিভিন্ন সময়ে অর্থনৈতিক কারণে বাংলাদেশে এসেছিল।

তাদের নিবন্ধন করেনি বাংলাদেশ। তাদের সংখ্যা তিন থেকে চার লাখ হবে বলে অনুমান করা হয়। ফলে বাংলাদেশে বর্তমানে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১১ লাখের বেশি। তারা সবাই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে এ দেশে এসেছেন।

সান নিউজ/আরআই

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

নোয়াখালীতে ভূমি দুস্যুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন 

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম...

ফসলের ক্ষতি করে চলছে অবৈধ ব্যাটারি ইন্ডাস্ট্রি

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

গরমে বারবার গোসল করা কি ক্ষতিকর?

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বৈশাখের শুরু থে...

আজ শেরে বাংলার ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ অবিভক্ত বাংল...

খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

হিটস্ট্রোকে একদিনেই ৬ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রা...

আইনি সেবায় মানবিকতাকেও স্থান দেয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনি সেবা প্রদানকালে পুঁথিগত আইন প্রয়োগের...

ভূঞাপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট। নেই...

প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরছেন কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: থাইল্যান্ড সফর শেষে আগামীকাল ব্যাংকক থেকে...

ডিপিএস এসটিএস স্কুলে গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডিপিএস এসটিএস স্কুল ঢাকার ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা