নিজস্ব প্রতিবেদক: জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তির পর বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এখনো ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা অতিক্রম না করায় আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, জাহাজটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির মালিক কেএসআরএম গ্রুপের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ফ্লাইওভার থেকে বাস নিচে পড়ে হতাহত ৪৫
সোমবার (১৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জাহাজটির মালিকপক্ষ জানায়, মুক্তির পর বিশেষ নিরাপত্তায় দুবাইয়ের পথে রয়েছে এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক। রাখা হয়েছে কড়া পাহারা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নৌবাহিনীর জাহাজ বিশেষ এ নিরাপত্তা দিচ্ছে। এ নিরাপত্তার মধ্যেই আগামী ২২ এপ্রিল দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ।
আরও পড়ুন: সাভারে এসি বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬
কেএসআরএমের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বেশ কিছু ছবিতে দেখা যায়, জাহাজটিতে কাঁটাতার দিয়ে বিশেষ নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। আবারও যাতে কোনো জলদস্যু উঠতে না পারে, সেজন্য এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এছাড়া নিরাপদ জায়গায় পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত পাহারায় থাকছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর জাহাজ। জলদস্যু হামলা প্রতিহতে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান আরও জানায়, এমভি আবদুল্লাহ বর্তমানে আরব সাগর পাড়ি দিচ্ছে। সেখান থেকে সোমালি উপকূল থেকে দূরত্ব বেশি নয়। এ কারণেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বিশেষ এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল
কেএসআরএম গ্রুপের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে জাহাজটির চারপাশ কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।জলদস্যুরা হানা দিলে যাতে উচ্চ চাপে পানি ছিটানো যায়, সেজন্য জাহাজের ডেকে ফায়ার হোস প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া আবার কোনো বিপদ হলে নাবিকেরা যাতে জাহাজে সুরক্ষিত স্থানে লুকাতে পারেন, সেজন্য ‘সিটাডেল’ (জাহাজের গোপন কুঠুরি) প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই করা হয় জাহাজটি। এর ৩২ দিন পর অর্থাৎ ৩৩ দিনে জিম্মি দশা থেকে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে জাহাজটি মুক্ত পায়।
সান নিউজ/এনজে