নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ভাটারা থানায় করা নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহজাহানসহ ৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন : আ. লীগের ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস’ পালন
কারাগারে যাওয়া অপর ৪ আসামি হলেন, , কুষ্টিয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আহসান হাবিব, বিএনপির গ্রাম সরকারবিষয়ক সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমুর রহমান শামীম ও বিএনপি নেতা মনিরুল হক।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিমের আদালতে তারা আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন : আওয়ামী লীগ সরকার কৃষি বান্ধব সরকার
এর আগে, ৯ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম তাদের চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় তারা পলাতক থানায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
রায়ে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ২ বছর কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে।
আরও পড়ুন : আমরা কাউকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছি না
এছাড়া অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতি সাধনের অভিযোগে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও এক মাসের কারাভোগ করতে হবে। দুই ধারার সাজা এক সঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ৩০-৪০ জন যমুনা ফিউচার পার্কের বিপরীতে প্রগতি সরণীতে জনসাধারণের চলাচলে গতিরোধ, পুলিশের কাজে বাধা ও বাসে অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগে এক লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় ভাটারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে ওই বছরের ১২ মে হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ভাটারা থানার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ মো. সাজু মিয়া।
সান নিউজ/এমআর