নিজস্ব প্রতিবেদক : পরাজয়ের ভয়ে বিএনপি মাঠ ছেড়ে পালাতে চাইছে। পালিয়ে না গিয়ে মাঠে এসে আমাদের সঙ্গে খেলুন। আমরা কখনো ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না, খেলেই জিততে চাই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন : ঢাকায় নিরাপত্তা সংলাপ চলছে
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ফখরুল সাহেবকে বলবো মাঠে আসার জন্য এবং মাঠে এসে আমাদের সঙ্গে খেলার জন্য। আমরা খেলেই জিততে চাই। আমরা চাই সব রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত করবে।
আরও পড়ুন : রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন বৃহস্পতিবার
তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আজকে যেভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে, প্রতিটি শহর এবং গ্রামের যে পরিবর্তন ঘটেছে, মানুষের ভাগ্যের যে পরিবর্তন হয়েছে...। আগে মানুষ ডাল-ভাতের কথা বলতো, এখন ডাল-ভাতের পরিবর্তে মাংসের দাম বাড়লে মানুষ সেটি নিয়ে কথা বলে। এটিই হচ্ছে উত্তরণ।
হাছান মাহমুদ বলেন, এই পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে। আস্থা আছে বিধায় আমরা সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই। বিএনপিকে বলবো খেলার মাঠ থেকে পালিয়ে না যাওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন : শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল
তিনি বলেন, নির্বাচনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মাঠে আমরা একটা পক্ষ। আমরা আয়োজক পক্ষ নই। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে যদি তাদের (বিএনপির) কোনো অভাব-অনুযোগ কিছু থাকে সেটি নিয়ে তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে পারে। নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে তাহলে আমরাও সেখানে যাবো। আমি মনে করি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করবো আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে। মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, ‘কথা বেশি নয়, কথা একটাই- এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে’। আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ না করে তাহলে মির্জা ফখরুল নিজের এবং বিএনপির পতন, দুটিই অবলোকন করবেন।
আরও পড়ুন : শর্তসাপেক্ষে শস্যচুক্তি নবায়ন
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ১৯৭০ সালে নির্বাচন হয়েছিল। মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে তখন স্লোগান দেওয়া হয়েছিল- ভোটের বাক্সে লাথি মারো বাংলাদেশ স্বাধীন কর। ১৯৭০ সালে নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। অনেক রাজনৈতিক দল সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। কিন্তু জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছিল এবং দেশও স্বাধীন হয়েছিল।
সান নিউজ/এমআর
 
                                     
                                 
                                         
                     
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                         
                        
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                     
                             
                             
                     
                         
                                 
                                 
                                 
                                 
             
                     
                             
                             
                     
                            