নৌশিন আহম্মেদ মনিরা: বিয়ের পরে একটা মেয়েকে সুখী করার জন্য খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন পরেনা। মানুষের মুখে যদিও শুনে থাকেন মেয়েদের অনেক চাহিদা এই চাই সেই চাই তবে বাস্তবিক পক্ষে একটা বাঙ্গালি মেয়ের তেমন কিছু চাহিদা থাকেনা।
ধরুন দিনটা শুক্রবার, ঘুম থেকে উঠে দেখলেন আদরের বউ ঘুমুচ্ছে, তাহলে তাকে ডাক না দিয়ে চুপটি করে গিয়ে দুই কাপ কফি করে নিতে পারেন, তারপর তাকে ডেকে তোলে হাতে কফি দিয়ে সারপ্রাইজ দিতে পারেন।
দুপুরবেলা হঠাৎ করে তাকে বলতে পারেন এই শুনো? তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও বের হবো আমরা। আর হ্যাঁ শুনো? চোখে একটুখানি কাজল দিও, কাজলে তোমাকে অদ্ভুত সুন্দর লাগে।
দুপুরের লাঞ্চটা যেকোন রেস্টুরেন্টে খেয়ে, যেদিকে দু চোখ যায় তার হাত ধরে হাঁটতে থাকুন, কিছুক্ষণ হাঁটার পর একটা রিকশা নিয়ে নেন, তারপর বাদাম খেতে খেতে একটা ইয়ারফোন দুজনে শেয়ার করে গান শুনতে শুনতে আর ঘুরে বেড়িয়েই বিকেলটা কাটিয়ে দিতে পারেন।
বিকেল গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা নামবে তখন দুজনে মিলে কোন এক চায়ের টং এ গিয়ে বসতে পারেন, তারপর দুজনে গল্প করতে করতে চা খেতে পারেন। চা খাওয়া শেষ হলে বাসায় ফিরতে পারেন।
মেয়েরা যতই বলুক তারা অনেক সাহসী তবুও তারা একটু ভীতু হয়, রাতে বাসায় ফিরার সময় মেয়েটার হাতটা শক্ত করে ধরে রাখুন দেখবেন ভরসা পাবে।
বাসায় ফিরার পর, ফ্রেশ হয়ে ছাদে গিয়ে বসতে পারেন, তারপর দক্ষিণের বাতাস উপভোগ করতে করতে দুজনেরেই প্রিয় এমন কোন রবীন্দ্র সংগীত কিংবা প্রিয় কোন কবিতার বই পড়তে পারেন, দেখবেন কতোটা ভালো লাগছে।
নিজের অর্ধাঙ্গিনীকে একটু কেয়ার করা, একটু সময় বের করে তাকে দেওয়া, মাঝে মধ্যে একটু আকটু সারপ্রাইজ দেওয়াটা খুব কঠিন কিছু না। মনে যদি নিজের অর্ধাঙ্গিনীকে সুখি করার ইচ্ছে থাকে, তাহলে এই বিষয়গুলো বলে দিতে হয়না, মন থেকে এমনিতেই চলে আসে।
ভালো থাকুক আমাদের সবার ভালোবাসার মানুষগুলো, ভালোবাসার মিষ্টি সংসারগুলো।
সান নিউজ/এনএএম