সান নিউজ ডেস্ক :করোনা ভাইরাস থেকে সেরে ওঠার পরও রোগীর বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে যায়। এর মধ্যে অতিরিক্ত চুল পড়া ও ব্রণের সমস্যা অন্যতম। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর রোগীকে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় নানা জটিলতা দেখা দেয়।
বিভিন্ন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, করোনার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে চুল পড়া ও ব্রণ হওয়ার সমস্যাও রয়েছে। এমন সমস্যা দেখা দিলে করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সাময়িকীতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আসুন জেনে নিই সেই আলোকে করণীয় সম্পর্কে-
অতিরিক্ত চুল পড়া : করোনা ভালো হওয়ার পর অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে ও চুলের বৃদ্ধি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যাকে বলা হয় অতিরিক্ত ‘টেলোজেন এফ্লুভিয়াম’য়ের প্রভাব। আর এটা হওয়ার কারণ এই সময়ে মানসিক চাপ। এই সমস্যা সাধারণত আক্রান্ত হওয়ার তিন মাস পর থেকে শুরু হয়।
ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন এর এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, এই সংক্রমণের ২৫টি লক্ষণের মধ্যে অতিরিক্ত চুল পড়া অন্যতম। এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পুষ্টি চাহিদা বিশেষ করে ভিটামিন, খনিজ, লৌহ, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন ইত্যাদি খাবার খেতে হবে।
খাবারের সমস্যা হলে চুল পড়ার সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তাই খাবার তালিকায় রাখুন তিনটি ফল, সবজি, ভুট্টা, শস্য, মটর ও স্বাস্থ্যকর চর্বি। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ না করাই ভালো।
ব্রণের সমস্যা : করোনার চিকিৎসায় ‘স্টেরোয়েডস’ ব্যবহার করা হলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্রণের সমস্যা হতে পারে। বুক, পিঠ, কাঁধ, থুতনির নিচের অংশ ও গলায় ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত ঘাম হলে ব্রণের সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া স্টেরোয়েডস’য়ের কারণে দেহের তাপমাত্রার ওঠানামা ব্রণের সমস্যা হয়ে থাকে।
এ ছাড়া নিয়মিত চুলে শ্যাম্পু না করার ফলে মাথায় দেখা দেয় খুশকির সমস্যা। সেখান থেকেও কপাল, পিঠ, গলা, কাঁধ ও বাহুতে ব্রণ দেখা দেয়। ব্রণ কেন হয় তার কারণ আগে খুঁজে বের করতে হবে। ব্রণে ভুলেও হাত দেবেন না। শরীর আর্দ্র রাখতে গোসলের পর নন-কমেডোজেনিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
ব্রণের চিকিৎসায় ত্বকে কখনও শক্ত স্ক্রাব ব্যবহার করা যাবে না। ময়েশ্চারাইজার সক্রিয়ভাবে ব্রণের কোনো উপকার না করলেও তা দাগের জটিলতা কমায়।
সান নিউজ/এসএ