আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে মৌসুমের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে সাধারণত যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়ে থাকে চলতি বছরে সেই তুলনায় ৫৭ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া একটি ঘূর্ণিঝড় হওয়ায় দেশটির দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বর্ষাকাল শুরু হতে বিলম্ব হচ্ছে।
আরও পড়ুন : অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
বুধবার (৭ মে) ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রকাশিত তথ্যে এ খবর জানা যায়।
সংস্থাটি জানায়, ১-৭ জুনের মধ্যে ভারতে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৯.৯ মিলিমিটার। যেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয় ২৩.১ মিলিমিটার। ভারতের জলাধার, অ্যাকুইফাইয়ারগুলো পুনরায় ভরা এবং কৃষিকাজের জন্য কৃষকদের যে পরিমাণ পানি দরকার, তার ৭০ শতাংশই আসে বর্ষাকালের বৃষ্টি থেকে। দেশটির ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির প্রাণসঞ্চারক হলো এই বর্ষাকাল।
আরও পড়ুন : পানিতে ভেসে গেল রুশ সেনারা
সাধারণত জুনের প্রথম দিন থেকে ভারতের দক্ষিণের অঞ্চল কেরালায় বর্ষণ শুরু হয়। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে তা পুরো দেশে ছড়ায়।
আবহাওয়াবিদরা ধারণা করেছিলেন, এ বছর ৪ জুন কেরালায় বর্ষাকাল শুরু হবে। কিন্তু এটি এখনো শুরু হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, আরব সাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’-এর প্রভাবে বর্ষাকাল শুরু হতে দেড়ি হচ্ছে। তবে আগামী ২ দিনের মধ্যেই অঝোর ধারায় ঝরবে বৃষ্টি।
আরও পড়ুন : পরিবেশ এখন প্রতিশোধ নিচ্ছে
ভারতের প্রায় অর্ধেক কৃষিজমিই আধুনিক সেচ ব্যবস্থার বাইরে। সেগুলোতে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া বর্ষাকালের ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন শস্য উৎপাদন করা হয়। কিন্তু বর্ষাকাল দেরিতে শুরু হওয়ায় ধান, ভুট্টা, তুলা, সয়াবিন এবং আখ আবাদে বিলম্ব হবে।
দেশটির আবহাওয়া আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছে, এ বছর পুরো জুন মাসেই বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে কম হবে। তবে মাসের শেষদিকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এবার বর্ষা আসতে দেরি হলেও মৌসুম জুড়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হবে।
খবর : রয়টার্স
সান নিউজ/এনজে