আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে চিঠি পাঠিয়ে সৌদি আরবে সরকারি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাদশাহ সালমান।
আরও পড়ুন: বিএনপি অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর তৈরি
সোমবার (২০ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রদিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের পাঠানো চিঠিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে রিয়াদ সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে সৌদি আরব এখনও এ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
আরও পড়ুন: প্রাণহানিতে শীর্ষে তাইওয়ান
বিবিসি জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক ইতিহাস সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে বৈরিতার কথাই বলে। তবে চীনের মধ্যস্ততায় সম্প্রতি ইরান এবং সৌদি আরব সাত বছর পর আবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি হয়েছে। এর ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দেশের মধ্যে আবার বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা সহযোগিতাও শুরু হবে।
ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনীতি বিষয়ক ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি টুইটারে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট রাইসির কাছে একটি চিঠিতে সৌদি আরবের বাদশাহ দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। বাদশাহ সালমান প্রেসিডেন্টকে রিয়াদে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। রাইসি এই আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছেন।'
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, দুই দেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে একটি বৈঠক করতে সম্মত হয়েছে এবং বৈঠকের তিনটি সম্ভাব্য স্থানের নামও প্রস্তাব করা হয়েছে। অবশ্য তিনি স্থানগুলোর নাম বলেননি এবং ঠিক কবে এই বৈঠক হতে পারে তাও বলেননি।
২০১৬ সাল থেকে হতে মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই বড় দেশের মধ্যে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। সেবছর সৌদি আরব এক শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর তেহরানের সৌদি দূতাবাসে হামলা হয়েছিল। আর তারপর দুই দেশের সম্পর্কে নাটকীয় অবনতি ঘটে।
আরও পড়ুন: হজের ফ্লাইট শুরু ২১ মে
মূলত ইরানি বিক্ষোভকারীরা তেহরানে সৌদি দূতাবাসে হামলার পর ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। তারপর থেকে সুন্নি এবং শিয়া-নেতৃত্বাধীন এই প্রতিবেশীদের মধ্যে উত্তেজনা প্রায়ই জারি ছিল। এই দুই দেশ একে অপরকে নিজের আঞ্চলিক আধিপত্যের জন্য হুমকি হিসাবে বিবেচনা করে থাকে।
এছাড়া সিরিয়া এবং ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধসহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংঘাতে ইরান ও সৌদি একে অপরের বিরোধী পক্ষ হয়ে কার্যত পরোক্ষ লড়াইয়ে নিয়োজিত রয়েছে।
সান নিউজ/এমআর