আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নিহত বেড়ে অন্তত ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এই সংখ্যা ৫০ জন বলে জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) কিনশাসা পুলিশের প্রধান সিলভানো কাসোঙ্গো এ তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারী বর্ষণের পর কিনশাসা শহরের আশপাশের সকল এলাকা কর্দমাক্ত পানিতে প্লাবিত হয়ে যায় এবং রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যাওয়া সড়কগুলোর মধ্যে এন১ হাইওয়ে রয়েছে যা কিনশাসাকে মাতাদির প্রধান সমুদ্র বন্দরের সাথে সংযুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: সংক্রমণে শীর্ষে জাপান
ডিআর কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এন১ হাইওয়ে ৩-৪ দিনের জন্য বন্ধ থাকতে পারে।
রয়টার্স বলছে, রাজধানী কিনশাসায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যার হিসাব রাখছে দেশটির জেনারেল ম্যানেজমেন্ট অব মাইগ্রেশন। এটি আফ্রিকার এই দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি অংশ।
আরও পড়ুন: কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ২
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জিন-জ্যাক এমবুঙ্গানি এমবান্ডা বলেছেন, মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ১৪১ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে গণনা করেছে তবে এই সংখ্যাটি অন্যান্য বিভাগের গণনা করা সংখ্যার সঙ্গে ক্রস-চেক করা দরকার।
কঙ্গোর সরকারের মুখপাত্র প্যাট্রিক মুয়ায়া টুইটারে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। এসব ছবিতে প্রধান একটি রাস্তাকে পনিতে ডুবে গেছে বলে দেখা গেছে এবং জনতাকে সেদিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়।
দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আর দ্রুত নগরায়নের বিকাশ ঘটায় ভারী বৃষ্টিপাতের পর আকস্মিক বন্যার জন্য ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে কিনশাসা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশটিতে প্রায় ভারী বর্ষণ আর বন্যা দেখা যায়।
আরও পড়ুন: জনগণ বিএনপিকে লালকার্ড দেখিয়েছে
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে কিনশাসায় মুষলধারে বর্ষণের কারণে সেখানকার নিম্নাঞ্চলের কিছু জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। ওই সময় বন্যায় অন্তত ৩৯ জনের প্রাণহানি এবং অনেক বাড়িঘর ও সড়ক ধসে যায়।
সান নিউজ/এমআর