আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক রাজকীয় আদেশে তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক সঙ্কটে ফায়দা লুটতে চায় বিএনপি
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুবরাজ মোহাম্মদ ইতোমধ্যেই বিশ্বের বৃহত্তম তেল রফতানিকারক দেশটির কার্যত শাসকে পরিণত হয়েছিলেন। তবে এই নিয়ো তাকে দেশীটর সরকারপ্রধান হিসেবে তার ভূমিকাকে আনুষ্ঠানিকতা দেবে।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ইতোমপূর্বে উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তার ছোট ভাই খালিদ বিন সালমান।
আরও পড়ুন: ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ নেবে ইসি
রাজকীয় ফরমানে বলা হয়, অন্য সকল সিনিয়র মন্ত্রী তাদের পদে বহাল থাকবেন। এদের মধ্যে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল ফারহান আল সৌদ, অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল জাদান ও বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ।
সাধারণত রাজপরিবারশাসিত সৌদি আরবে পদাধিকার বলে বাদশাহই মন্ত্রিসভার প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী থাকছিলেন এতদিন। তবে সেই চর্চায় পরিবর্তন ঘটিয়ে পুত্র মোহাম্মদ বিন সালমানকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসালেন বাদশাহ সালমান।
আরও পড়ুন: আল-বদর বাহিনী প্রধান খলিলুর গ্রেফতার
প্রসঙ্গত, ৩৭ বছর বয়সী সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এমবিএস হিসেবেও পরিচিত। তিনি ২০১৭ সালে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হন। সিংহাসন বসা থেকে একধাপ দূরে আছেন তিনি। মোহাম্মদ বিন সালমানের জন্ম ১৯৮৫ সালের ৩১শে আগস্ট। বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের তৃতীয় স্ত্রী ফাহদা বিনতে ফালাহ বিন সুলতানের সন্তান মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি আরবে সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্য প্রকাশিত তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে, যা ভিশন ২০৩০ নামে পরিচিত। ইতোমধ্যে এর বেশ কিছু বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তিনি।
সান নিউজ/কেএমএল