সান নিউজ ডেস্ক : ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির দেওয়া আদেশে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫ লঙ্ঘিত হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল।
আরও পড়ুন: শ্রীলংকা ছাড়লেন নিরুপমা রাজাপাকসে
অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার ( ৭ এপ্রিল ) সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে স্বতঃপ্রণোদিত (সুয়োমোটো) শুনানি চলছে। সেই শুনানি চলাকালে প্রধানবিচারপতি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এখন পাকিস্তান মুসলীম লীগের (পিএমএলএন) কৌঁসুলি এবং অ্যাটর্নি জেনারেল (এজিপি) খালিদ জাভেদ খান আদালতকে কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে সে বিষয়ে গাইড করবেন।
উমর বলেন, আমাদের জাতীয় স্বার্থের দিকে নজর দিতে হবে। আদালত বৃহস্পতিবার রায় দেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রায়ের প্রত্যাশায় সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, সর্বোচ্চ আদালতের বাইরে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার নির্দেশ
এদিন প্রধান বিচারপতি বান্দিয়ালের নেতৃত্বে বিচারপতি মুনিব আখতার, ইজাজুল আহসান, মাজহার আলম এবং মান্দোখেলের সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে চতুর্থ দিনের মতো শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের শুনানিতে রাষ্ট্রপতি ড. আরিফ আলভির পক্ষে আইনজীবী আলী জাফর প্রতিনিধিত্ব করেন এবং যুক্তি উপস্থাপন করেন। তার যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির আইনজীবী জাফরকে প্রশ্ন করেন, সবকিছু সংবিধান অনুযায়ী চললে সাংবিধানিক সংকট কোথায়?
উত্তরে আলী জাফর বলেন, আমিও তাই বলছি, দেশে কোনো সাংবিধানিক সংকট নেই। এক পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, দেশে সাংবিধানিক কোনো সংকট আছে কি-না তা তিনি কেন ব্যাখ্যা করছেন না।
শুনানি চলাকালে বিচারপতি মাজহার রাষ্ট্রপতির আইনজীবীর কাছে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী জনগণের প্রতিনিধি ছিল কি-না। পরে জাফর সম্মতিসূচক উত্তর দেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হোন
উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা প্রস্তাব অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দেন জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট। আর পুরো প্রক্রিয়াটিকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছেন বিরোধীরা।
সাননিউজ/এমআরএস