আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের জেল থেকে পালানো ৬ ফিলিস্তিনিকে না পেয়ে তাদের স্বজনদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডাউন টুডেস পেপার।
জানা গেছে, পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের আবারও ধরতে তাদের স্বজনদের গ্রেফতার করার কৌশল অবলম্বন করেছে ইসরায়েল। এজন্য পশ্চিম তীরের অন্তত ছয়টি পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে তারা। এছাড়া পলাতকদের ধরতে পশ্চিম তীরের জেনিনের সন্দেহভাজন স্থানগুলোতে ড্রোন ব্যবহারের পাশাপাশি প্রতিটি সড়কে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
ইসরায়েলের এ কাজের সমালোচনা করছেন মানবাধিকারকর্মীরা।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের পরিচালক ওমর শাকির এক টুইটে বলেছেন, কারো আত্মীয়কে জোর করে আটকে রাখা মাফিয়া স্টাইলেরই কৌশল। এটা কোন ভদ্র সমাজের কাজ নয়।
ইসরায়েলের সবচেয়ে সুরক্ষিত কারাগারগুলোর মধ্যে অন্যতম গিলবোয়া কারাগার। কারাগারটি এতটাই সুরক্ষিত যে, সেটিকে ইসরায়েলের সিন্দুক বলা হয়। সে কারাগার থেকে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে পালিয়েছিলেন ছয় বন্দি। এরপর থেকে তাদের ধরতে অভিযানে নামে ইসরায়েলি সেনারা।
৬ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলের গিলবোয়া জেলখানা থেকে তারা পালিয়ে যান।
ইসরায়েলি সংবাদ সংস্থা জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, শিন বেট (ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থা), সীমান্ত পুলিশ, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) দুটি সেনাদল এবং বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা পলাতকদের খুঁজছেন। ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তাদেরকে খুঁজে বের করতে ড্রোন ও হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে একটি সুড়ঙ্গের প্রবেশপথের ছবি দেখা যায়। এই সুড়ঙ্গ দিয়ে তারা পালিয়েছেন বলে ইসরায়েলের স্থানীয় গণমাধ্যম জানালেও পুলিশ এখনও এর সত্যতা নিশ্চিত করেনি।
ফিলিস্তিনের প্রিজনার সাপোর্ট গ্রুপের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পলাতকদের একজন হচ্ছেন ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দল ফাতাহের সামরিক কমান্ডার জাকারিয়া জুবেইদি। বাকি পাঁচ জন হচ্ছেন- মোন্ডাল আইনফাত, মাহমাদ আরদিয়া, মোহাম্মদ আরদিয়া, ইয়াকুব কাদারী ও ইহাম কামাগি। তারা প্যালেস্টাইনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) নামক একটি দলের সদস্য।
সান নিউজ/এফএআর