আন্তর্জাতিক
আলোড়ন তুলেছে

আফগান নাগরিকদের দেশত্যাগের ছবির গল্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানই এখন সশস্ত্র গোষ্ঠী দখলে। রাজধানী কাবুলসহ পুরো স্থান জুড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীন অবস্থা। সরকার গঠন করে দেশের শাসনভার হাতে নেওয়াটাও এখন সময়ের ব্যাপার।

তবে তালেবান শাসনের ভয় আর আতঙ্কে নাগরিকদের আফগানিস্তান ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। আতঙ্কিত মানুষ যেকোনো মূল্যে চাইছেন আফগান ভূখণ্ডের বাইরে যেতে।

আর আফগান নাগরিকদের দেশ ছাড়ার তেমনই একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্লাটফর্মে। এতে সৃষ্টি হয়েছে আলোড়নের।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রোববার মার্কিন বিমান বাহিনীর সি-১৭ মডেলের একটি বিমান কাবুল ত্যাগ করে। সোমবার প্রকাশিত একটি ছবিতে দেখা যায়, বিমানটির ভেতরে গাদাগাদি করে বসে রয়েছেন নারী, শিশু ও পুরুষসহ শত শত আফগান নাগরিক।

ডিফেন্স ওয়ান ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন বিমান বাহিনীর সি-১৭ মডেলের ওই বিমানে প্রায় ৬৪০ জন অবস্থান করছিলেন। যা বিমানটির ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি। মার্কিন সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে ছবিটি হাতে পায় ডিফেন্স ওয়ান।

বিবিসি জানিয়েছে, বিমানটিতে অবস্থান নেওয়া শত শত আফগান নাগরিকের দেশ ছাড়ার ব্যাপারে অনুমতিপত্র ছিলো। তারা বিমানের অর্ধ-খোলা দরজা নিয়ে ভেতরে ঢুকতে সমর্থ হন। তবে হুড়োহুড়ি করে ধারণক্ষমতা বেশি মানুষ বিমানে উঠে পড়লেও তাদেরকে জোর করে নামিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে উড্ডয়নের সিদ্ধান্ত নেন ক্রুরা।

রোববারের পর সোমবারও কাবুল বিমানবন্দরে এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিদ্যমান ছিল। দেশ ছাড়ার হিড়িকে হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরে জড়ো হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মার্কিন বাহিনী গুলিবর্ষণ করে। এতে দু’জন আফগান নিহত হন। মার্কিন বাহিনীর দাবি, নিহত ওই দুই আফগান নাগরিকের কাছে অস্ত্র ছিল।

যাত্রীদের বেশিরভাগের সঙ্গে কোনও লাগেজ নেই। কোনওরকমে বিমানের মেঝেতেই আশ্রয় খুঁজে নিয়েছেন তারা। আফগানিস্তান থেকে এই এয়ারক্রাফ্ট প্রাথমিকভাবে কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করে। সেখানে যাত্রীদের নামিয়ে ফের ফিরে দিয়ে দ্বিতীয় দফায় যাত্রী বোঝাই করে নিয়ে যাবে উড়োজাহাজটি।

সূত্র: দ্য ওয়াল।

সাননিউজ/এএসএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

কোচিং সেন্টারে মিলল বিপুল অস্ত্র-বিস্ফোরক

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় একটি বাড়ি থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরি সরঞ্জাম...

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের জামিন ও মামলা বাতিলের আবেদনের শুনানি পেছাল

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম হত্য...

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কোনো চাঁদাবাজকে বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র...

‘গোপন রাজনীতি’, ছাত্রশিবির ও ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুম সংস্কৃতি এবং এই কেন্দ্রিক নির্যাতন গত ১৫ বছরে ছি...

খাতিরের ঠিকাদারকে কাজ দিতে ডিএনসিসির দরপত্রে ‘কারসাজি’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) বাতি স্থাপনের কাজ ‘খাতিরের’...

চিকিৎসক নেতা নারায়ণ হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বা...

ভরাডুবির ভয়ে কিছু খুচরা পার্টি নির্বাচন চাচ্ছে না: দুদু

নির্বাচন হলে যাদের ভরাডুবি হবে তারাই নির্বাচন চাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বি...

রিকশাচালককে কীসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার, ধানমন্ডি থানার ওসির ব্যাখ্যা তলব

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ থেকে রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে কীসের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার ক...

প্রধান উপদেষ্টা নিজে ক্লিয়ার করেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে: রিজওয়ানা

নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা...

জুলাই সনদে ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ অবস্থান অস্পষ্ট: ডেভিড বার্গম্যান

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে জুলাই জাতীয় সনদের সমন্বিত খসড়া পাঠিয়...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা