কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার আগে আমেরিকাকে সতর্ক করেছিল ইরান। এ জন্য ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু তেহরান কেন আমেরিকাকে আগে থেকেই সর্তক বার্তা দিয়েছিল, সেই প্রশ্নই এখন সামনে আসছে।
নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক স্টেফান ফ্রুহলিং বিবিসিকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে ইরানের পাল্টা হামলার উদ্দেশ্য ছিল মূলত “প্রতীকী”।’
ফ্রুহলিং বলেন, ‘এই সতর্কতার মাধ্যমে ইরান বোঝাতে চেয়েছে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বড় সংঘাতে জড়াতে চায় না।’
ফ্রুহলিংয়ের মতে, ইরানের পক্ষ থেকে সময় ও লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে আগাম জানানো হয়েছে, যাতে কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র বেসামরিক বিমান চলাচল নিরাপদে সরিয়ে নিতে পারে।’
তিনি যোগ করেন, এই সতর্কতা যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারকে এক ধরনের বার্তা যে ইরান সংঘাত সীমিত রাখতে চায়। কারণ, সংঘাত বাড়লে তারা সামরিকভাবে পিছিয়ে পড়তে পারে।
ফ্রুহলিং বলেন, এর আগেও ইরান এমন ‘লোক দেখানো’ হামলা চালিয়েছিল, যেমনটা হয়েছিল ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কাসেম সোলাইমানি হত্যাকাণ্ডের পর।
এদিকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরায়েল এবং ইরান প্রায় একই সঙ্গে তার কাছে এসেছিল এবং বলেছিল, ‘শান্তি’; এই মুহূর্তে আমি জানতাম এখন সময়। ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এমনটাই লিখেছেন।
তিনি যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিলেন তার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বিশ্ব এবং মধ্যপ্রাচ্যই আসল জয়ী। উভয় জাতিই তাদের ভবিষ্যতে অসাধারণ ভালোবাসা, শান্তি এবং সমৃদ্ধি দেখতে পাবে।’
যদিও ইরান বা ইসরায়েল কেউই প্রকাশ্যে যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়নি। তবে ইরান ইঙ্গিত দিয়েছে যে, ইসরায়েল ইরানে হামলা বন্ধ করলে তারাও ইসরায়েলে হামলা বন্ধ করবে।
আর ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরানের দিক থেকে নতুন ক্ষেপনাস্ত্র হামলা হয়েছে।
সাননিউজ/ইউকে