সান নিউজ ডেস্ক: ভারতের দক্ষিণী সিনেমার লেডি সুপারস্টার নয়নতারা বিয়ের চার মাস পর যমজ সন্তানের মা হয়েছেন।
আরও পড়ুন: তাহলে কি সন্তান দত্তক নিয়েছেন?
গত ৯ অক্টোবর নিজের ইনস্টাগ্রামে দুই পুত্রসন্তানের ছবি পোস্ট করে এই ঘোষণা দেন নয়নতারার স্বামী বিগনেশ শিবান। তারপর বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। প্রশ্ন উঠে, বিয়ের চার মাস পর কীভাবে সন্তানের জন্ম দিলেন এই দম্পতি?
বিয়ের পর দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়ালেও নয়নতারার কোনো বেবি বাম্প দেখা যায়নি। তাহলে কি সন্তান দত্তক নিয়েছেন? নেটিজেনদের অনেকের দাবি— দত্তক নয়, সারোগেসির মাধ্যমে এই যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন নয়নতারা-বিগনেশ। এরপর বিষয়টি তদন্ত করার জন্য তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। এবার জানা গেলো, চার মাস নয়, কয়েক বছর আগে বিয়ে করেছেন নয়নতারা-বিগনেশ।
আরও পড়ুন: বধূবেশে অপু বিশ্বাস!
বলিউড লাইফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ছয় বছর আগে রেজিস্ট্রি বিয়ে সেরে রেখেছিলেন নয়নতারা-বিগনেশ। সেই বিয়ের যাবতীয় কাগজ-পত্র তদন্ত কমিটির কাছে জমা দিয়েছেন এই তারকা জুটি।
সারোগেসি (রেগুলেশন) অ্যাক্ট, ২০২১ অনুযায়ী, বিয়ের পর অন্তত পক্ষে ৫ বছর কাটলে তবেই কোনো দম্পতি সারোগেসির আবেদন করতে পারেন। যে নারী সন্তানের জন্ম দেবেন, তাকেও সেই দম্পতির নিকট আত্মীয় হতে হবে।
এ তারকা-জুটির সন্তান যে নারী জন্ম দিয়েছেন, তিনি নয়নতারার আত্মীয়। সেই নারী সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করেন। চেন্নাইয়ের যে হাসপাতালে তাদের সন্তানদের জন্ম হয়, সেখানেও গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। নয়নতারা-বিগনেশ আশ্বস্ত করেছেন, সব নিয়ম মেনেই বাবা-মা হয়েছেন তারা।
২০১৫ সালে ‘নানুম রাউডি ধান’ সিনেমার শুটিং সেটে বিগনেশ শিবানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান তিনি। তারপর ৭ বছর প্রেম করেন। চলতি বছরের ৯ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘর বাঁধেন এই দম্পতি।
আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত জীবনের জন্য সময় নেই
প্রসঙ্গত, নয়নতারা ২০০৩ সালে জয়ারামের সাথে মালয়ালম ছবি মানস্সিনাক্কারে দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন। তিনি তামিল এবং তেলুগু ছবিতে কাজ করার পূর্বে সুপার হিট মালয়ালম ছবি নাত্থুরাজাভুতে সহশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। তিনি তামিল চলচ্চিত্রে ২০০৫ সালে অভ্যএবং ২০০৬ সালে লক্সমি ছবি দিয়ে তেলুগু চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন এবং ছবি দুটিতে সাফল্য পান।
পরে ব্যবসায়িক সাফল্যমন্ডিত একাধিক ছবি যেমন চন্দ্রমুখী (২০০৫), দুবাই সেনু (২০০৭), তুলসী (২০০৭), বিল্লা (২০০৭), ইয়ারাদি নি মোহিনী (২০০৮), আদ্ভান (২০০৯), আধূরস্ (২০১০), সিংহ (২০১০), বস এনজিরা ভাস্করন (২০১০), শ্রী রামা রাজ্যম (২০১১), রাজা রাণী (২০১৩), আরম্ভাম (২০১৩), থানি অরুভান (২০১৫), মায়া (২০১৫), নানুম রৌডি ধান (২০১৫), বাবু বঙ্গরাম (২০১৬), এবং ইরু মুগান (২০১৬) ছবিগুলোতে তিনি চরিত্র প্রধান হিসেবে অবদান রাখেন, যেগুলো পরে তাকে দক্ষিণাত্যের ভারতীয় চলচ্চিত্রে অনুষ্কা শেট্টির পরে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহীতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
সান নিউজ/এনকে