নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে বাল্যবিয়ের হিড়িক পড়েছে। গত দেড় বছরে এ অঞ্চলে বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে পাঁচ শতাধিক ছাত্রী। তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কিশোর-কিশোরীরা প্রেমের সম্পর্কে জড়াচ্ছে। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা এবং ভবিষতের কথা ভেবে অল্পশিক্ষিত অভিভাবকরাও সন্তানদের বাল্য বয়সে বিয়ে দিচ্ছেন।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নানা কারণে ঝরে পড়ছে বহু শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ শিকার হচ্ছে বাল্যবিয়ের। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ছাত্রীরা বাল্যবিয়ের অন্যতম ভুক্তভোগীর শিকার। রাজশাহীর এক বিদ্যালয়েই শতাধিক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে হয়েছে। আবার একই গ্রামে একাধিক বাল্যবিয়ের ঘটনাও আছে। এই ছাত্রীদের আর ক্লাসে ফেরার সম্ভাবনা নেই।
তথ্যমতে, উপজেলার পদ্মারচরে চকরাজাপুর ইউনিয়নের চকরাজাপুর ও পলাশি ফতেপুর উচ্চবিদ্যালয়ের অর্ধশত ছাত্রী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। পরিবারের সম্মতি না থাকলেও শিক্ষার্থীদের একটি অংশ নিজেরাই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে। চকরাজাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ৫২২ জনের মধ্যে ৩৮ ছাত্রীর বিয়ে হয়েছে। অপরদিকে পলাশি ফতেপুর হাইস্কুলে ২৩৫ জনের মধ্যে বিয়ে হয়েছে ১২ ছাত্রীর।
বেসরকারি সংস্থা প্লান বাংলাদেশের তথ্যানুযায়ী-২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত কুড়িগ্রামে বিয়ে হয়েছে ২২ হাজার ৩৯১টি। এরমধ্যে নিবন্ধিত বিয়ে ১৯ হাজার ২২১টি এবং অনিবন্ধিত বিয়ে ৩ হাজার ১৭০টি। জেলার ৯ উপজেলায় বাল্যবিয়ে সংগঠিত হয়েছে ৩ হাজার ১৯টি। এরমধ্যে কুড়িগ্রাম সদর-৭৩০টি, রাজারহাট-৭৪টি, উলিপুর-২৬১টি, চিলমারী-১৪৬টি, রৌমারী-৮৮টি, রাজিবপুর-৫০টি, নাগেশ্বরী-১১৪০টি, ফুলবাড়ি-২৯১টি, ভূরুঙ্গামারীতে-২৩৯টি বাল্যবিয়ে হয়েছে। এছাড়া বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ হয়েছে এক হাজার ১৩৬টি।
সান নিউজ/এনকে