দীর্ঘ ৩৫ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ (বুধবার) অনুষ্ঠিত হচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। সাতবারের মতো আয়োজিত এ নির্বাচনে সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর শুরু হবে গণনা এবং ফলাফল ঘোষণা।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৯০৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৪১৫ জন এবং হল সংসদে ৪৯৩ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে ১৩টি প্যানেল এবং একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। নারী প্রার্থী রয়েছেন ৪৭ জন।
ভোটগ্রহণ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদে, যেখানে ১৫টি হলের জন্য নির্ধারিত ১৫টি কেন্দ্রে ৬০টি কক্ষে স্থাপিত ৬৮৯টি বুথে চলছে ভোট গ্রহণ। পুরো প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যালট পেপার, তবে গণনা হবে ওএমআর (OMR) মেশিনের মাধ্যমে। ভোটগ্রহণ ও গণনার চিত্র সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে ১৪টি এলইডি স্ক্রিনে।
নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে নেওয়া হয়েছে বহিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন রয়েছে র্যাবের আটটি টিম, পুলিশ, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীকেও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী শহরে অবস্থান করায়, তাদের ক্যাম্পাসে আসার সুবিধার্থে বাড়তি শাটল ট্রেন ও বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭০ সালে। এরপর নিয়মিত নির্বাচনের কথা থাকলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তা আর সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে আজ হচ্ছে সপ্তমবারের মতো এ নির্বাচন।
৩৫ বছর পর ছাত্ররাজনীতির এমন গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ফিরে আসায় ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। শিক্ষার্থীদের মাঝে রয়েছে বিপুল আগ্রহ ও অংশগ্রহণ।
সাননিউজ/এও