এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলায় বাস স্টেশনে গত ৫০ বছরেও গড়ে ওঠেনি স্থায়ী বাস টার্মিনাল। ফলে স্থানীয় ও দূরপাল্লার শত শত যাত্রীবাহী বাস পার্কিং করতে হচ্ছে আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর।
আরও পড়ুন: ঢাকায় দেশীয় খাবারের উৎসব শুরু কাল
সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে গাড়ি পার্কিং করায় অন্যান্য যানবাহন ও মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থায়ী বাস টার্মিনালের দাবিতে বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতি ও পরিবহন কাউন্টার পরিচালকরা জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে একাধিকবার আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন: শার্শায় দূর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুন্দরবন ঘেঁষা জেলার সর্বশেষ এ জনপদে ৮০’র দশক থেকে শুরু হয় স্থানীয় রুটের বাস ও সাধারণ যান চলাচল। প্রথম দিকে দূরপাল্লার ২/১ টি পরিবহন পরীক্ষামূলকভাবে চলা শুরু করে। ধীরে ধীরে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পর ব্যাপকভাবে শুরু হয় দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল।
বর্তমানে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা থেকে সরাসরি ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, বগুড়া, খুলনা, যশোর, বেনাপোল ও জেলা সদরে অর্ধশত পরিবহন চলাচল করছে। কিন্তু ২ উপজেলায় বাস স্টেশনে টার্মিনাল না থাকায় যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের মধ্যে মারাত্মক বিড়ম্বনা দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় শার্শার যুবক নিহত
শরণখোলার রায়েন্দা বাস স্ট্যান্ডের ফালগুনী পরিবহনের কাউন্টার পরিচালক মো. গুলজার হাওলাদার জানান, বর্তমানে দূরপাল্লার দিবা ও নৈশকালীন ৪৫-৬০ টি পরিবহন চলছে। এসব পরিবহন যাত্রী নামানোর পর গাড়িগুলো সড়কের ওপর ও আশপাশে বিচ্ছিন্নভাবে পার্কিং করে রাখতে হচ্ছে।
রায়েন্দা বাস স্ট্যান্ডে পাবলিক টয়লেট থাকলেও টার্মিনাল ও যাত্রী ছাউনি নেই মোড়েলগঞ্জে এর কোনোটিই নেই। আগে বাস স্ট্যান্ডের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি ডোবা ভরাট করে পরিবহনগুলো রাখা হতো। কিন্তু সেখান থেকে বেড়িবাঁধ হওয়ার কারণে সেই জায়গাটি আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষ, নিহত ২
এ সর্ম্পকে শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ-মোংলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শামীম আহসান পলাশ জানান, দুই উপজেলার বাস স্ট্যান্ডে স্থায়ী বাস টার্মিনাল করার জন্য স্থানীয় এমপি ও জেলা প্রশাসক বরাবরে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো ফল হয়নি।
বর্তমানে বাসগুলো সড়কের ওপরে পার্কিং করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। এতে নানামুখী দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে দুই উপজেলার মানুষের।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আর ৩ জনের মৃত্যু
শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন খান জাকির বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে, সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ও যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে বাস টার্মিনালের জন্য জমি বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।
বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, মহাসড়ক দখল করে কোনো স্থাপনা বা গাড়ি পার্কিং সম্পূর্ণ অবৈধ। আমরা শিগগিরই এসব উচ্ছেদে অভিযান শুরু করবো।
সান নিউজ/এনজে