ঢেউয়ে লণ্ডভণ্ড কুয়াকাটা সৈকত
সারাদেশ

ঢেউয়ে লণ্ডভণ্ড কুয়াকাটা সৈকত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকত অস্বাভাবিক জোয়ারের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে সৈকতের অন্তত ৩০ ফুট প্রস্থ বেলাভূমি গিলে খেয়েছে বিক্ষুব্ধ সাগর।

ভেসে গেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকানসহ মালামাল। ভাঙ্গনের তীব্রতা এতো বেশি ছিল যে বালুর নিচের সাবমেরিন ক্যাবলের অপটিক্যাল লাইন বের হয়ে গেছে। উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে ভেঙে গেছে সৈকতের লাগোয়া একটি আবাসিক হোটেলের একাংশ।

হুমকির মুখে রয়েছে পাবলিক টয়লেট। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছ পালা। সর্বত্র এখন যেন ধ্বংসের ছাপ পড়ে আছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু সৈকত নয়। ঢেউয়ের ঝাপটায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধও চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। একই সাথে ধ্বংসে পরিণত হয়েছে বনবিভাগের রিজার্ভ ফরেস্ট ও কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান ইকোপার্ক। কুয়াকাটার সৈকত লাগোয়া সম্প্রীতির নিদর্শন হিসেবে খ্যাত মসজিদ ও মন্দিরটি রয়েছে ঝুঁকিতে।

অস্বাভাবিক জোয়ারের এমন তাণ্ডব তারা আগে কখনও দেখেননি। গত বছরে ঢেউয়ের ঝাপটা ঠেকাতে দেয়া জিও টিউবসহ ব্যাগ ছিঁড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। আগের চেনা সৈকত এখন যেন অচেনা হয়ে গেছে। ভাঙ্গনের কারণে এখন জোয়ারে থাকছে না ওয়াকিং জোন। এ সৈকতের বেলাভূমে শত শত পর্যটক গোসলে মত্ত থাকে।

এদিকে কুয়াকাটার মানুষের জীবন ও সম্পদ জলোচ্ছ্বাসের ঝাপটা থেকে রক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধও চরম ঝুঁকিতে পড়েছে।

সৈকত পাড়ের ঝিনুকের দোকানি মো. রাসেল খলিফা বলেন, রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় যান। সকালে এসে দেখি মালামালসহ দোকানের একাংশ সাগরে ভাসছে। শুধু তার দোকান নয়, সৈকতের প্রায় অর্ধশত ক্ষুদ্র দোকানিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় এক যুগের সাগর পাড়ের ব্যবসা, সব ভেসে গেছে বলে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাসেল জানান।

আগত পর্যটক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, সাগরের অব্যাহত ভাঙ্গনে কুয়াকাটার চিত্র বদলে যাচ্ছে। সৈকত রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। অন্যথায় সূর্যোদয় সূর্যাস্তের এই বিরল সৌন্দর্য মণ্ডিত কুয়াকাটা হারিয়ে যাবে।

কুয়াকাটা পৌর মেয়র আ. বারেক মোল্লা জানান, সমুদ্র সৈকত রক্ষা করা কুয়াকাটা পৌরসভার একার পক্ষে সম্ভব নয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার অবহিত করা হলেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছেনা। তারপরও পাবলিক ওয়াস রুম ও জিরো পয়েন্ট রাস্তা রক্ষার্থে পাঁচ শতাধিক বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফালানো হয়েছে। সৈকতের ভাঙন রোধে তিনি দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (কলাপাড়া সার্কেল) খান মোহাম্মদ ওলিউজ্জামান জানান, ভাঙ্গনরোধের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত আসেনি বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

সান নিউজ/ আরএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

শিবগঞ্জে রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এলাকাবাসীর

শিবগঞ্জের শাহাবাজপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ি হতে বিনোদপু...

সাঁওতাল কৃষক বিদ্রোহ দিবসে দিনাজপুরে শপথ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি

সোমবার (৩০ জুন) দিনাজপুরের লোকভবন টাউন হল প্রাঙ্গণে ঐতিহাসিক সাঁওতাল কৃষক বিদ...

পদ্মা-যমুনায় ইলিশের আকাল, জেলেরা ফিরছে খালি হাতে

দেশ-বিদেশে সুখ্যাতি থাকলেও গোয়ালন্দের যমুনা ও পদ্মা নদীর মোহনায় জেলের জালে দে...

বগুড়ায় পেটে লাথি মেরে বাচ্চা মেরে ফেলার অভিযোগ

বগুড়ায় যৌতুকের দাবিতে এক গর্ভবতী গৃহবধুকে নির্যাতন সহ পেটে লাথি মেরে বাচ্চা...

মুরাদনগরকাণ্ড, মামলা তুলে নিতে চান ভুক্তভোগী

বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে চাঞ্চল্যকর কোন কিছু ভাইরাল হতে সময় লাগে না।...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা