মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে শনিবার ব্যক্তি উদ্যোগে সংস্কার করা হয়েছে দেড়-কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা। সকাল থেকে জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রাম থেকে চাঠাদিপাড়া গ্রাম পর্যন্ত রাস্তার অসংখ্য গর্ত ও খানাখন্দে মাটি ভরাট করা হয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচগাঁও বাজার সংলগ্ন একমাত্র সেতুর এপ্রোচ সংস্কার করা হয়।
উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মোল্লার উদ্যোগে ও নিজস্ব অর্থায়নে ওই কাঁচা রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে।
এদিকে, বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে দেড়-কিলোমিটার রাস্তার অসংখ্য খানাখন্দ ও ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে ওই রাস্তায় যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এমনকি পায়ে হেটে চলাচল করাও দুস্কর হয়ে উঠে। দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তার এ বেহাল অবস্থায় থাকলেও সংস্কার করা হচ্ছিলো না।
পাঁচগাঁও বাজারের দোকানদার নুরু বেপারী জানান, বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেও এ রাস্তায় কাদামাটিতে একাকার হয়ে উঠে। বিভিন্ন স্থানে গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে কর্দমাক্ত হয়ে উঠেছে পুরো রাস্তা। এতে পাঁচগাঁও থেকে চাঠাদিপাড়া গ্রাম পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
এমন বেহাল রাস্তা সংস্কারে এগিয়ে এসেছেন গ্রামেরই ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মোল্লা। তারই অর্থায়নে শনিবার সকাল থেকে রাস্তা সংস্কার শুরু হয়েছে। তিনি নিজেও শ্রমিকদের সঙ্গে সংস্কার কাজে অংশ নিয়েছেন।
অটোরিকশা চালক খোকন মিয়া বলেন, রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে বিধায় আমরা বেজায় খুশি। কেননা ওই রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল যাচ্ছিলো না দীর্ঘদিন ধরেই। ব্যক্তি উদ্যোগে রাস্তাটি সংস্কার হচ্ছে শুনে সকলের মধ্যে হাসি ফুটেছে।
রাস্তা সংস্কার প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মোল্লা বলেন, আমার গ্রামেরই রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এতে গ্রামের বৃহত জনগোষ্ঠী দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলো। তাই অন্যত্র থেকে মাটি কিনে এনে, গাড়িতে করে রাস্তার খানাখন্দ ও গর্তে ভরাটের সামান্য চেষ্টা করেছি। এখানে আমার সঙ্গে আরও ২০ জন শ্রমিক কাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. রাশেদুজ্জামান বলেন, আমার উপজেলায় এমন খারাপ রাস্তা রয়েছে-তা আমার জানা নেই। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কেউ যদি রাস্তা সংস্কার হয়ে থাকে তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, খোঁজ-খবর নিয়ে ওই রাস্তা উন্নত ভাবে সংস্কারের পদক্ষেপ নিবো।
সান নিউজ/এসআই