নিজস্ব প্রতিনিধি, নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ে মাঠে তিনটি পয়েন্টে চারজন করে বসে খেলছে তাসের মাধ্যমে জুয়া। এদেরকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে আরও কয়েকজন। তারা অপেক্ষায় আছে এ চার জনের কেউ সর্বশান্ত হলে ওই জায়গায় আরেকজন বসবে।
এভাবে জটলা বেঁধে জুয়ার আসর মেতে উঠেছিল জুয়াড়িরা। ঠিক এমন সময় কয়কজন সাংবাদিক মাঠে প্রবেশ করেন। সাংবাদিকদের এমন আগমনে জুয়ায় মেতে ওঠাদের মধ্যে থেকে হঠাৎ একযোগে অনেকেই বলে উঠে সাম্বাদিক আইসছে পালাও। মাত্র এক মিনিটের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যায় পুরো মাঠ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রেলওয়ে বিভাগীয় শহরের এ মাঠে কর্তৃপক্ষ বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান করে থাকে। এছাড়া রেলওয়ের বিভাগীয় পর্যায়ে ফুটবল, ভলিবলসহ নানা ধরনের খেলা আয়োজন করা হয় এ মাঠে।
বিকেলে নানা বয়সী ছেলেরা ফুটবল ও ক্রিকেট, ভলিবলসহ বিভিন্ন ধরনের খেলার অনুশলীন করে। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ হিসেবে এখানে বছরের দুটি ঈদের প্রধান জামায়াতও অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু শহরবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ মাঠ এখন জুয়ারি ও মাদকসেবীদের দখলে চলে গেছে।
শাহজাদা আরমান নামের এক যুবক জানান, মাঠে জুয়ার আসর বসায় একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। লাখ লাখ টাকার জুয়া অনেকটা প্রকাশ্যে চলে। এছাড়া সন্ধ্যা নামলে শুরু হয় মাদক বিক্রি ও সেবন। গাঁজা, বাংলা মদ ও ইয়াবা বিক্রি হয়ে দেদারসে। আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাই তাদের টার্গেট। টোকাই ও হকারদের মাধ্যমে তারা সেবনকারীদের হাতে মাদক পৌঁছে দিচ্ছে। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে এসে মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে অনেকে। এক পর্যায়ে নিয়মিত সেবন করতে হয় এই ভয়াবহ মাদক।
শহরের বাশঁবাড়ী এলাকার ক্রিকেটার সাদ্দাম হোসেন বলেন, জুয়ারি ও মাদকসেবীদের কারণে এখানকার পরিবেশ বাজে হয়েছে। তাই এখানে প্রাকটিস বন্ধ করে দিয়েছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে অভিযোগ করে বলেন, এসবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কিছু প্রভাবশালী মহল। যারা সব ম্যানেজ করে চালাচ্ছে জুয়া ও মাদক ব্যবসা। এসব বন্ধে প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেন তাঁরা।
সান নিউজ/আমিরুল হক/এমকেএইচ