প্রতিপক্ষের গুলিতে পৌর মেয়র কাদের মির্জার সাত অনুসারী ও এক পথচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এটি শনিবার (২৯ মে) রাতে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার ঘটনা।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন (৪০), ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সানি (২৭), সবুজ (৪০), জিসান (২৩), দেলোয়ার (২৮), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন ওরফে সুজন (২৭), দিদার (৩৫) এবং পথচারী নওশাদ (৩৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন ও বসুরহাট পৌরসভার প্রত্যেক ওয়ার্ডে সন্ধ্যা থেকে কাদের মির্জার অনুসারীরা মিছিল করেন। পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মিছিল করতে গেলে প্রতিপক্ষ বাদল অনুসারীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে গোলাগুলি হয়। এতে প্রথচারীসহ আটজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বাদল অনুসারী কারো হতাহতের খবর মিলেনি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আটজন গুলিবিদ্ধ। তারা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গুরুতর আহত একজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কাদের মির্জা ঘোষিত উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বলেন, কাদের মির্জার অনুসারীদের মিশিলে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে মাহবুবুর রশিদ ওরফে মঞ্জু ও ফখরুল ইসলাম ওরফে রাহাতের লোকজন অতর্কিত গুলি চালিয়েছেন।
সেতুমন্ত্রীর ভাগনে মাহবুবুর রশিদ হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।