নিজস্ব প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর : করোনা সংক্রমণরোধে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটে যাত্রী পারাপারের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার (১০ মে) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাট মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে।
এদিকে, অভিযোগ রয়েছে- সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়াল মজুচৌধুরীরহাট লঞ্চ ঘাটের ইজারাদার। সরকারি নিষেধাজ্ঞাকালীন তার লোকজনই অবৈধভাবে ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও স্পিডবোর্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার করে। ঈদকে সামনে রেখে মজুচৌধুরীরহাট ঘাটে যাত্রীদের ভিড় থাকে।
জরিমানাপ্রাপ্তরা হলেন- আনোয়ার হোসেন, আবু তাহের ও শাওন আহমেদ। তারা ভোলা ও বরিশালের বাসিন্দা।
করোনা সংক্রমণরোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মেঘনায় অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শহিদুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, করোনা সংক্রমণ রোধে এবার নৌ-যান চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। পণ্যবাহী যানবাহন ও এম্বুলেন্স নিয়ে ফেরি চললেও যাত্রী নেওয়া বন্ধ রয়েছে। কিন্তু অবৈধভাবে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে একটি সিন্ডিকেট ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও স্পিডবোর্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার করছে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে মজুচৌধুরীর হাট ফেরীঘাট-লঞ্চঘাটসহ মেঘনার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটক আনোয়ারকে ১৫ হাজার টাকা, আবু তাহেরকে ১৫ হাজার ও শাওনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একটি ইঞ্জিন চালিত জব্দ করা হয়েছে। নৌকার মাঝি পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়াল বলেন, ম্যাজিষ্ট্রেটের সঙ্গে অভিযানে আমিও ছিলাম। নদীর বিভিন্ন এলাকা দিয়ে একটি সিন্ডিকেট যাত্রী পারাপার করছে। এতে আমি কিংবা আমার লোকজন জড়িত নয়।
সান নিউজ/জেইউবি/কেটি