মাদারীপুরে আমন ধানের বাম্পার ফলন, মাঠজুড়ে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটার মহোৎসব। আবহাওয়া অনুকূল এবং কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শের ফলে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে এখন খুশির ঝিলিক।
মাদারীপুর জেলার ৫টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে দেখা যায়, ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের কাজ চলছে। মাদারীপুর সদর, রাজৈর, শিবচর, কালকিনি ও ডাসার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে দেখা যায় ধান কাটা এবং মাড়াইয়ের কাজ। সোনালি ধানে স্বপ্ন বুনছে কৃষক, বাড়ির আঙিনায় নতুন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত দিন পার করছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। তবে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় কৃষক।
সদর উপজেলার মোবারকদী গ্রামের আসাদ মোল্লা বলেন, আবহমানকাল থেকেই বছরের এই সময় অগ্রহায়ণ মাস এলেই নতুন ধান ঘরে তুলি আমরা, আর সেই সাথে শুরু হয় ঘরে ঘরে নবান্নের হাওয়া। নতুন সুগন্ধি ধান দিয়ে মেতে ওঠে শীতকালীন পিঠা ও পায়েসের উৎসব। তারই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে মাদারীপুর জেলার সর্বত্র।
মাদারীপুর জেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর জেলায় ২২ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে আবাদ হয়েছে ২৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে মাদারীপুর সদর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছিল ৫ হাজার ৫৬০ হেক্টর এবং আবাদ হয়েছিল ৫ হাজার ৬০৯ হেক্টর জমিতে। কালকিনি-ডাসার উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছিল ৯ হাজার ৬৯৫ হেক্টর এবং আবাদ হয়েছিল ১০ হাজার ৮৪ হেক্টর জমিতে। রাজৈর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছিল ২ হাজার ৫৪০ হেক্টর এবং আবাদ হয়েছিল ২ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে। আর শিবচর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছিল ৪ হাজার ৮১৫ হেক্টর এবং আবাদ হয়েছিল ৫ হাজার ৯২৭ হেক্টর জমিতে।
মাদারীপুর জেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. রহিমা খাতুন জানান, প্রণোদনার আওতায় ৩ হাজার ১৫০ জন কৃষককে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। রাজস্বের আওতায় আরও ভালো মানের বীজ সরবরাহ করেছি। এ বছর আমন ধান চাষে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কোনো রোগবালাই হয়নি এবং ফলন ভালো হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত ফলন ঘরে তুলে বাজারে ভালো দাম পাবেন—এমটাই প্রত্যাশা জেলার কৃষকদের।
সাননিউজ/আরপি