জেলা প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগিবাড়ী উপজেলার আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলি দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন হালদারকে গুলি করে হত্যা করে ঘাতকরা।
আরও পড়ুন: ব়্যাংক ব্যাজ পরালো হাসান মাহমুদকে
রোববার (৭ জুলাই) দুপুর দেড়টায় আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রোববার সকাল থেকেই উপজেলার পাঁচগাঁও আলহাজ্ব ওয়াহেদ আলী দেওয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদের নির্বাচন চলছিল। এরপর দুপুর ১টার দিকে ঐ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ সময় সভাপতি পদে মনিরুজ্জামান দেওয়ান ৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়। এতে পরাজিত প্রার্থী মিলনুর রহমান হালদার পান মাত্র ২ ভোট।
এরপর পরাজিত প্রার্থী মিলন হালদারের সমর্থক নুর মোহাম্মদ হালদার নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান সুমন হালদারকে দায়ী করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন। এই সময় সুমন হালদার গালিগালাজ করতে নিষেধ করায় নূর মোহাম্মদ তার বুকে গুলি করলে গুরুতর ভাবে আহত হয়। এর পরে তাকে উদ্ধার করে টংগিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী-ইইউ বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
এই সময় নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই ভোলা হালদার দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে ঘটনাস্থল থেকে তার এই হত্যাকাণ্ডের সহযোগী ম্যানেজিং কমিটির পরাজিত সভাপতি প্রার্থী মিজানুর রহমান হালদার, সওদাগর হালদার, কাউসার হালদার, নূর হোসেন হালদারসহ আরও কয়েকজনকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দেয়।
এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মিজানুর রহমান মোল্লা জানান, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে মনিরুজ্জামান দেওয়ান জয়লাভ করেন। এর ফলে পরাজিত প্রার্থী মিলনুর রহমান হালদারের সমর্থক নূর মোহাম্মদ হালদার এই পরাজয়ের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান সুমনকে দায়ী করেন এবং এক পর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে এ সময় তিনি গুরুতর ভাবে আহত হয়। এতে স্থানীয় মিলন হালদার, তার ভাই সওদাগর হালদার, নূর হোসেন হালদারসহ আরও কয়েকজন নূর মোহাম্মদকে সহায়তা করেন। এর পরে গুলি করে নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই ভোলা হালদার পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা
টংগিবাড়ী থানা পুলিশের ওসি মোল্লা সোয়েব আলী জানান, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পরাজিত প্রার্থীর লোকজনরা নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পরে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে। এর পরে তাকে উদ্ধার করে টংগিবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ। এই হত্যার মূল অপরাধীদের গ্রেপ্তারের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
সান নিউজ/এমএইচ