টি.আই সানি, গাজীপুর: তখনও সূর্যের আলো তেমন একটা মেলেনি। সন্ধ্যা হওয়ার কিছুটা সময় বাকী কুয়াশার চাদরে ঢাকা আকাশ। আকাঁ-বাঁকা মেঠো পথ ধরে চলতেই চোখে পড়ে ঝাঁকে ঝাঁকে সাদা বক। এখন বসন্তকাল না আসলেও সাদা বকের মিলন মেলা দেখে মনে হয় এ যেন বকের মিলন মেলা, আগাম জানান দিচ্ছে বসন্তকাল আসার । শীত বিদায় না নিলেও এর আবেশ এখনও প্রকৃতিতে বিদ্যমান। আর এ প্রকৃতিতে সবুজ অপরূপ সুন্দরের প্রতীক।
ফসলের মাঠে ঝাঁকে ঝাঁকে সাদা বক যেন চিরন্তন বাংলার রূপ। এই সময়টাতে খাদ্যের সন্ধানে উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ, নদী ও জলাশয়ের ধারে ভিড় করে দেশি সাদা বকের দল। তা দেখে মনে হয় এ যেন বকেদের মিলন মেলা। চাষ করার সময় শত শত বক উড়ে এসে লাঙলের ফলার চারপাশে ঘিরে থাকে। মাটির নিচের পোকামাকড় খায়।
এদিকে ঝাঁকে ঝাঁকে সাদা বক দেখে মজা পায় সব বয়সী মানুষ।
সরেজমিন গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকায় দেখা যায়, ওপরে সাদা মেঘ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন কুয়াসায় ঘেরা আকাশ, কৃষকের জমিতে কাদা মাটির উপরে সাদা বকের অবস্থান, মিলিমিশে যেন একাকার। মনে হয় এটা যেন বকের অভয়াশ্রম।
এক সময় সাদা বকের প্রচুর দেখা মিলত বিল, পুকুর, ডোবায়, ফসলের মাঠে। এরা সাধারণত গাছের মগডালে বাসা বাঁধে। আর এই পাখির প্রধান খাদ্য মাছ ও পোকামাকড়। এ ছাড়া ফসলি জমিতে পোকামাকড় দমনে এদের ভূমিকা অপরিসীম। এই পাখিটি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। শুধু গ্রামগঞ্জে ফসলের জমিতে ও নদীর ধারে শীতের মৌসুমে দেখা মেলে এই বকের।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সুমাইয়া সুলতানা বন্যা জানান, সাদা বক প্রকৃতির বন্ধু। ফসলের জমিতে ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফসলের উপকার করে। বকসহ সব উপকারি পাখি ফসলের জমিতে পোকামাকড় খায়। এতে করে মাটি তার পরিপূর্ণ পুষ্টি পায়। ফসল ভালো হয় আর কৃষক হন লাভবান।
সান নিউজ/টিআইএস/এনকে