ফিচার

তাক লাগানো অস্ত্র রাশিয়ার এস-৫০০

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:

রাশিয়ার অবিশ্বাস্য এস-৫০০ আবিষ্কার করে তাক লাগিয়ে দিলো গোটা বিশ্বকে। এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৫০০ দিয়ে কেবল আকাশপথে উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান বা ড্রোন ধ্বংস করা যাবে না বরং এ দিয়ে ঠেকানো যাবে মহাকাশ থেকে হামলা করতে ধেয়ে আসা অত্যাধুনিক অস্ত্রও।

রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটাবে এস-৫০০। এবং রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরবর্তী প্রজন্মকে আরো শক্তিশালী করলো বলেও মন্তব্য করেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল সের্গেই খাতিলেভ।

রুশ বিমান বাহিনীর বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র বিভাগের সাবেক প্রধান খাতিলেভ আরও বলেন, এস-৫০০ দিয়ে প্রতিরক্ষার নানামুখী দায়িত্ব পালন করা যাবে। যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রসহ আকাশপথে উড়ে আসা প্রচলিত লক্ষ্যবস্তু এ দিয়ে শনাক্ত করাই কেবল যাবে না বরং ধ্বংস করেও দেয়া যাবে। তিনি বলেন, হাইপারসোনিক বা শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে ছুটে আসা লক্ষ্যবস্তু এতে ধরা পড়বে।

লক্ষ্যে হামলা জন্য ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যখন বায়ুমণ্ডলে ঢুকে এগিয়ে আসতে থাকে তখনই এটি ধরা পড়বে এবং ধ্বংস করা যাবে। এছাড়া, হামলার লক্ষ্যে ছোঁড়া ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উড়ে আসার অন্যান্য পর্যায়েও এটি এস-৫০০’র চোখে ধরা পড়বে এবং ধ্বংস করে দেয়া যাবে। এ পর্যায়ে মহাজগত পাড়ি দেয়ার মতো গতি পায় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। অর্থাৎ সেকেন্ডে কয়েক কিলোমিটার পাড়ি দেয়ার মতো প্রচণ্ড গতি অর্জন করে এটি।

নতুন প্রজন্মের এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে ২০০ কিলোমিটার ঊর্ধ্বাকাশের এবং ৬০০ কিলোমিটার দূরবর্তী সে কোন লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করে দেয়া যাবে বলেও জানান তিনি। একে কার্যকর ভাবে মহাকাশের কাছাকাছি যে কোনও লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে ব্যবহার করা সম্ভব হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এস-৫০০ মহাকাশ-অস্ত্র বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে।

শীতল যুদ্ধের সময় থেকেই রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রধানত মস্কো কেন্দ্রিক ছিল বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, এস-৫০০ মোতায়েনের পর এ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে এবং এটি গোটা রাশিয়া কেন্দ্রিক হয়ে উঠবে। সূত্র: পার্সটুডে

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

গৌতম বুদ্ধ শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় অনন্য দৃষ্টান্ত: মুক্তিজোট

শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা ২০২৫ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রা...

দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে চলছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের পর আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দ...

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে চান শাহবাগে আন্দোলনকারীরা

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে জুলাই-আন্দোলনের...

সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হলে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে বেশি: মুডিস

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আন্তর্জাতিক ঋণমান নির...

টিভিতে আজকের খেলা

প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (১০ মে) বেশ কিছু খেলা প্রচারিত হবে টেলিভিশনের পর্দায়...

বিচারিক প্রক্রিয়ায় আ. লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে: এ্যানি

বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম-...

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে পৃথক স্থানে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১১ মে) বিকেলে ব...

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক স্থান থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক স্থান থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ র...

ফেনীর মুহুরীগঞ্জে দুই ছিনতাইকারীকে ধাওয়া দিয়ে আটক করলো এলাকাবাসী

এক নারী যাত্রীর ব্যাগ ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা খেলো স...

মৌসুমী ফলে বিষাক্ত রাসায়নিক; হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মৌসুমী ফলে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে পাকিয়ে বাজারজ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা