বিনোদন ডেস্ক:
করোনা আতঙ্কের এই সময়ে দেশের বাইরে থেকে যারা দেশে ফিরেছেন তাদের অনেকেই বাইরে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন। যার ফলাফলও পাচ্ছেন হাতেনাতে। তাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে এখন দেশের অনেকেই রয়েছেন শঙ্কায়। কিন্তু এর মধ্যে একটু হলেও ব্যতিক্রম দেশের বিনোদন তারকারা। বিশ্ব পরিস্থিতির এই অবস্থায় তাদের অনেকেই স্বেচ্ছায় ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছেন।
স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা, মোশাররফ করিম ও মেহের আফরোজ শাওন জানিয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতার কথা। এমনকি তাদের ভক্ত সমর্থকদের দিয়েছেন নিরাপদে থাকার মতো উপদেশও।
সম্প্রতি রুনা লায়লা লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন। আর দেশে এসেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তিনি। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন রুনা লায়লা। সেখানে লিখেছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো পৃথিবী এখন একটা সঙ্কটময় পরিস্থিতি পার করছে। আমাদের সবাইকে এই ভাইরাসের ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে হবে। একে প্রতিরোধের সব পদক্ষেপ নিতে হবে। ঘরে এবং বাইরে আমাদের সবাইকে সরকারের নির্দেশনা ও বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের সব নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।
তিনি আরো লিখেন, যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে আমার নিজের শরীরে কোনো ধরনের উপসর্গ না থাকা সত্ত্বেও আমি স্বেচ্ছায় আমার পরিবার আর গৃহকর্মীদের নিয়ে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ মেনে চলছি। আমার পরিবারের অন্য সদস্য এবং স্টাফরা এই নিয়ম মেনে চলছে। সতর্ক থাকুন এবং সবকিছু থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখুন, অন্যদেরও নিরাপদে রাখুন। সৃষ্টিকর্তা সবার মঙ্গল করুন।
গত ২ মার্চ ‘ডিকশনারি’ ছবির শুটিংয়ের জন্য তিনি কলকাতায় যান মোশাররফ করিম। কলকাতার বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং করেছেন তিনি।
সম্প্রতি শুটিং শেষ করে ঢাকায় ফিরেছেন মোশাররফ করিম। এদিকে অন্য সব নাটকের শুটিং বাতিল করে তিনি রয়েছেন কোয়ারেন্টিনে।
এ বিষয়ে মোশাররফ করিম বলেন, বেশকিছু নাটকের শুটিং ছিল, বাতিল করেছি। এই মুহূর্তে শুটিংয়ে অংশ নেওয়া ঠিক হবে না। ঘরে থাকছি, কাজ ছাড়া বের হচ্ছি না। বের হলেও মাস্ক ব্যবহার করছি। তাছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো মেনে চলছি।
এদিকে কিছুদির আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেই স্বেচ্ছায় কোয়ারান্টাইনে আছেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন। এই সঙ্কটময় সময়ে সন্তানদের কাছ থেকেও দূরে রয়েছেন তিনি।
মেহের আফরোজ শাওন বলেন, কারও নিজের ও নিজের পরিবারের প্রতি মায়া বা দায়িত্ব থাকলে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিভিন্ন অনলাইন ও ফেসবুকের মাধ্যমে যে সব খবর পাচ্ছি সত্যিই দুঃখজনক। অবাক হচ্ছি তাদের এই অসচেতনতা দেখে। সবাইকে নিরাপদে থাকার অনুরোধ করছি।
সান নিউজ/সালি
Newsletter
Subscribe to our newsletter and stay updated.