ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
প্রাণঘাতী নভেলা করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার সাতশ ১১ জন এবং ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে চীনের সব অঞ্চলে। খবর গার্ডিয়ান ও বিবিসির
চীন ছাড়াও জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, আরব আমিরাত, তাইওয়ান, নেপাল, ফ্রান্স, সৌদি আরব, কানাডাসহ অন্তত ১৬টি দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে।
বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে করণীয় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার এক জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মানুষের মাধ্যমে এ ভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ায় আমরা উদ্বিগ্ন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃতদের বেশিরভাগ বয়স্ক ব্যক্তি এবং প্রতিদিন বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন করোনাভাইরাস ঠেকাতে একটি বিশেষ চিকিৎসা নির্দেশনা প্রকাশ করেছে।
এছাড়া ভাইরাসটির বিস্তার রোধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কঠোর করেছে চীন।
চীনের হুবেই প্রদেশের যে উহান শহর থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল সে শহরটি এখনও লকডাউন রয়েছে।
করোনাভাইরাস গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায় এবং এর কোনও নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন নেই।
এ দিকে অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা দাবি করেছেন তারা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এ ভাইরাসের নাম দিয়েছে ২০১৯ নভেল করোনাভাইরাস।
চীনে সফর করেছেন এমন লোকজনের মাধ্যমেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে অনেক দেশে।
বাংলাদেশে যেন এই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে না পড়তে পারে সেজন্য দেশের বিমানবন্দরগুলোতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
যেসব বাংলাদেশি চীনে অবস্থান করছেন তারা দেশে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারও তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চীন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
Newsletter
Subscribe to our newsletter and stay updated.