ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনা পরিস্থিতিতে ইন্দোনেশিয়ার কেপু গ্রামে বেড়েছে ভূতের উৎপাত। রাতে রহস্যময় সাদা ভূতেরা পথচারীদের চমকে দিয়ে নিমিষেই চাঁদের আলোয় মিলিয়ে যাচ্ছে।
তবে এ ভূতগুলো আসলে মানুষ। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মানুষকে ভয় দেখিয়ে হলেও ঘরে রাখার এমন অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছে জাভা দ্বীপের ছোট্ট এ গ্রামের কর্তৃপক্ষ। তাদের বিশ্বাস, পুরনো কুসংস্কার আশ্রিত গ্রামের বাসিন্দারা এতে ঘরে থাকবে।
গ্রামের একটি যুবদলের প্রধান আনজার পানকানিংত্যাস বলেন, “সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আমরা ভিন্ন কিছু একটা করতে চেয়ে এমন পথ বেছে নিয়েছি; ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছি। কারণ, ‘পোকং’ ভূতুড়ে এবং ভয়ংকর।”
ইন্দোনেশিয়ার প্রচলিত লোককাহিনী অনুযায়ী, সাদা কাপড়ে মোড়ানো ভূতকে ‘পোকং’ বলা হয়। এর মুখাবয়বও পাউডারের মতো সাদা, কোটরে ঢুকানো ঘোলাটে চোখ। মরে গেলে মানুষের আত্মা এরকম ভূতের বেশ ধরে আসে এবং বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে ঘুরে বেড়ায় বলেই সেখানকার লোকজনের বিশ্বাস।
এ বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়েই এ মাসের শুরু দিক থেকে পুলিশের সহায়তার কেপু গ্রামের একদল তরুণ মুখে পাউডার লাগিয়ে, চোখে কালি মেখে, সাদা কাপড় পরে ‘পোকং’ সেজে বিনাকারণে ঘরের বাইরে বেরোনো মানুষজনকে ভয় দেখিয়ে ঘরে ঢুকাচ্ছে।
কেপু গ্রাম প্রধানের কথায়, সেখানকার বাসিন্দারা এখনো কোভিড-১৯ এর মতো রোগের ব্যাপারে সচেতন না। তারা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে চায়।
ইন্দোনেশিয়ায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ২১৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৩৭৩ জন। এ সংখ্যা আরো বাড়ারই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Newsletter
Subscribe to our newsletter and stay updated.