ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানিয়েছেন, করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির কথা থেকে আসা জলীয় কণার মাধ্যমেও আরেকজনের দেহে ভাইরাসটি ছড়াতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) এএফপির খবরে জানানো হয়, নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, শব্দ করে কথা বলার সময় মুখ থেকে বের হওয়া অতি ক্ষুদ্র জলীয় কণা বা মাইক্রোড্রপলেটস বদ্ধ স্থানে ১০ মিনিটেরও বেশি সময় বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। অর্থাৎ, কোভিড–১৯ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এটি ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন গবেষকেরা।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডায়াবেটিকস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজের (এনআইডিডিকে) একজন গবেষক একটি বদ্ধ বাক্সের কাছে মুখ নিয়ে ২৫ সেকেন্ড ধরে 'স্টে হেলদি' শব্দটি উঁচু স্বরে উচ্চারণ করেন। বাক্সটিতে লেজার প্রজেক্ট থাকায় মুখ থেকে বের হওয়া জলীয় কণা সহজেই হিসাব করা গেছে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির (পিএনএএস) জার্নালে প্রকাশিত এ সমীক্ষায় দেখা গেছে, সেগুলো গড়ে ১২ মিনিট বাতাসে অবস্থান করছিল।
লালার মধ্যে করোনাভাইরাসের ঘনত্বকে মাথায় নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন যে, প্রতি মিনিট উচ্চস্বরে কথা বলার ফলে এক হাজারেরও বেশি ভাইরাসযুক্ত জলীয় কণা বের হতে পারে ।একটি বদ্ধ স্থানে তা আট মিনিট বা তার বেশি সময় ধরে বাতাসে ভেসে থাকতে পারে।
গবেষকেরা বলছেন, শব্দ করে কথা বলায় মুখ থেকে নিঃসৃত জলীয় কণার মাধ্যমে ভাইরাস বাতাসে ভেসে লোকজনকে সংক্রমিত করতে পারে। এই গবেষণার ফলে তাই মাস্ক ব্যবহারের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার মাত্রা বেড়ে গেল বহুগুণ।
Newsletter
Subscribe to our newsletter and stay updated.