নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারে মাছের দাম বাড়ার পাশাপাশি ডিমের দামও রয়েছে ঊর্ধ্বমুখী। ফলে সাধারণ মানুষের আমিষের চাহিদার অন্যতম উৎস মাছ ও ডিমের দামে স্বস্তি নেই। অতিরিক্ত দামে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।
আরও পড়ুন: কমতে পারে তাপমাত্রা
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, পাঙ্গাস ছাড়া অন্যান্য মাছের দাম বেশি।
এ সময় বাজারে দেশি রুই বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া চাষের রুই ৩৫০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি ১৮০০ টাকা, ট্যাংরা ১২০০ টাকা, বোয়াল ১৩০০ টাকা, দেশি শিং ১০০০ টাকা, চাষের শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কাচকি ৭০০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, বাইলা ১০০০ টাকা, রূপচাঁদা ১১০০ টাকা এবং মলা মাছ ৬০০ টাকায় কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরিবের মাছ পাঙ্গাসও কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
দাম বেশি থাকার বিষয়ে বিক্রেতা খলিল মিয়া জানান, এখানে বেশিরভাগই মাছ ভালো মানের ও দেশী জাতের। তাই দামটা বেশি। যে আড়ত থেকে মাছ আনা হয়, সেখানে দাম বেশি। তাছাড়া আগের চেয়ে সাপ্লাই কিছুটা কমেছে। তবে আমাদের এখানে বেশিরভাগ মাছই ভালো মানের ও দেশি জাতের।
এদিকে অতিরিক্ত দামে মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।
আরও পড়ুন: ঢাবির সমাবর্তনের স্পন্সর ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি
লালমাটিয়া এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, মাছের দাম দেখে ভড়কে গিয়েছি। এই দামে মাছ কিনলে তো বাকি মাস চলতে পারব না।
এ সময় ক্রেতা সৈয়দ তারিকুল ইসলাম জানান, এসেছিলাম একটু বেশি করে মাছ কিনতে। তবে যে দাম, হয়তো বাজেটের অর্ধেক কিনতে হবে।
মাছের পাশাপাশি ডিমের দামও বাড়তির দিকে রয়েছে। আজ বাজারে ফার্মের ডিম ডজন প্রতি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি ডিম ১৮০ টাকা, হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ২১০ টাকায়।
আরও পড়ুন: নতুন স্যাটেলাইট চুক্তি সই হচ্ছে
এ দিন মাংসের বাজারে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি মুরগি ৩১০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। এছাড়া গরুর মাংস ৮০০ টাকা ও খাসির মাংস ৯৫০-১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংস বিক্রেতা আবদুল্লাহ জানান, মাংসের দাম আগের মতোই আছে। অন্যান্য দিন কম বিক্রি হলেও শুক্রবারে একটু বেশি বিক্রি হয়।
সান নিউজ/এনজে