স্পোর্টস ডেস্ক:
টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় দ্বি-শতক তুলে নিয়ে দলকে একটা ভালো ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।
সোমবার মিরপুর টেস্টে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন তিনি। একইসঙ্গে টেস্টে দেশের মাটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েন এই লিটল জিনিয়াস। তার দারুণ ইনিংসে ভর করে ৫৬০ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।
মুশফিকের দ্বি-শতক ও মুমিনুলের শতকের ওপর ভর করে ১৫৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৬০ রান তুলে টাইগাররা। এর ফলে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের চেয়ে ২৯৫ রানে এগিয়ে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বপ্ন এখন দেখতেই পারে স্বাগিতকরা।
ব্যক্তিগত ৫৫ রান নিয়ে মুমিনুল ও মুশফিক ২০ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন। শুরু থেকেই দেখে খেলতে থাকেন মুমিনুল। ১৫৬ বলে ১২টি চারের মার দিয়ে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস থেকে ২৫ রানে পিছিয়ে থেকে এদিন মাঠে নামে টাইগাররা। তবে আধঘণ্টা না যেতেই জিম্বাবুয়ের স্কোর ছাড়িয়ে লিড নেয় বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ৩৫১ রান নিয়ে মধ্য বিরতিতে যায় টাইগাররা।
বিরতির পরপরই টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম শতক তুলে নেন মি. ডিপেন্ডেবল। মাত্র ১ রানের জন্য শতকের অপেক্ষা নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিলেন মুশফিক। বিরতি থেকে ফিরে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাতে সময় নেন মাত্র ৭ বল। এন্দোলভুর বলে লং অন দারুন এক বাউন্ডারির মেরে শতক পূর্ণ করেন মুশফিক।
মুশফিক-মুমিনুলের ব্যাটে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশের রান। নিজেদের ইতিহাসে চতুর্থ উইকেট জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২২ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন তারা। দলীয় ৩৯৪ রানের মাথায় এন্দোলভুর বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ২৩৪ বলে ১৩২ রান করে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
এরপর নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে রানের গতি অব্যাহত রাখেন মুশফিক। ওয়ানডে স্টাইলে খেলা মিথুন বিদায় নেন দলীয় ৪২১ রানে। ২১ বলে ১৭ রান করে এন্দোলভুর শিকারে পরিণত হন মিথুনও।
এরপর লিটন দাসের অর্ধশতকে বাংলাদেশের রান ৫০০ পেরোয়। দলীয় ৫৩২ রানের মাথায় ৫৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস।
কিন্তু তখনও দলের হাল ছিল মুশফিকের হাতে। দুর্দান্ত ব্যাটিং করা মি. ডিপেন্ডেবেল ধীরে ধীরে এগিয়ে যান ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল হান্ড্রেডের দিকে। ১৫৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে এন্দোলভুর বলে চার মেরে নিজের দ্বি-শতক রান পূর্ণ করেন মুশফিক। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনটি দ্বি-শতকের একক মালিক এখন তিনিই।
মুশফিকের দ্বি-শতক পূর্ণ হওয়ার পরপরই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ৩১৮ বলে ২০৩ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।
তার ইনিংসটি সাজানো ছিলো ২৮টি চারের মারে। অপরপ্রান্তে ১৯ বলে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংস হার এড়াতে এখন লড়ছে জিম্বাবুয়ে। তার জন্য ২৯৫ রানের পাহাড় ডিঙাতে হবে অতিথিদের। হাতে আছে আরও দুদিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৬৫ অল আউট/১০৬.৩ ওভার
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৬০/৬ ডিক্লেয়ার /১৫৪ ওভার
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ৯/২ /৫ ওভার
সান নিউজ/সালি