নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে চালের আড়তে অভিযান চালিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বাজার মনিটরিং টিম। তবে এ সময় আড়ৎ খোলা থাকলেও সেখানে অধিকাংশ মালিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: তরুণদের আরও সুযোগ দিতে হবে
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. জয়নাল আবেদিনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
জানা গেছে, অভিযানের খবর জেনে দোকান খোলা রেখেই পালিয়ে যান আড়তদাররা।
শুরুতে একটি চালের আড়তে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কাউকে খুঁজে পায়নি মনিটরিং টিম। এরপর আরও ২ টি আড়তেও একই ঘটনা ঘটে। আড়ৎ খোলা থাকলেও পাওয়া যায়নি কাওকেই। অভিযানের খবরে দোকান খোলা রেখেই পালিয়ে যান তারা।
আরও পড়ুন: তেল-মসুর ডাল কিনছে সরকার
পরে দিনাজপুর রাইস এজেন্সি নামে আরেকটি আড়তে গিয়ে কিছু অনিয়ম পাওয়া যায়। তবে অনিয়মের জন্য আড়তদারকে কোনো শাস্তি দেয়া হয়নি। শুধু আড়তের মালিককে সতর্ক করেন উপসচিব।
আড়তদার আসাদুজ্জামান জানান, তার চালের মূল্যের তালিকা নবায়ন করা হয়নি। তবে তাকে কোনো জরিমানা করা হয়নি।
অভিযান চলাকালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং টিমের সাথে যোগ দেন কৃষি মার্কেট চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনিরুল ইসলাম মন্টু। এ সময় এক ডজনের বেশি আড়তদারের কাছে চালের দাম বাড়ার কারণ জানতে চান অভিযান পরিচালনাকারীরা।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবইয়ে বিভ্রান্তি থাকলে সংশোধন হবে
প্রায় সব আড়তদারের ভাষ্য, জেলা পর্যায়ে মিলাররা হঠাৎ করেই চালের দাম বাড়িয়েছেন। চালের দাম বাড়ার সাথে আড়তদারদের কোনো দায় নেই।
অভিযান শেষে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. জয়নাল আবদিন বলেন, মাঝখানে দাম বেড়ে গিয়েছিল। এখন সেটি কমছে এবং সেটি ভালোই। আশা করছি, খুব দ্রুত চালের দাম আগের পর্যায়ে চলে আসবে।
অভিযানে অনিয়ম পেয়েও শান্তির আওতায় না আনার বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা চলে গেছেন। আমরা আবার আসব। প্রয়োজনে না বলে আসব। আমরা জরিমানা করছি। মূলত জেলা পর্যায়ে যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে, মোকামগুলোতে ব্যাপক অভিযান হচ্ছে।
উপসচিব আরও বলেন, এখানে আমরা জরিমানা করব না, ব্যাপারটা এমন নয়। যদি অনিয়ম পাই, বড় অ্যাকশনে যাব। আসলে আমরা বড় ধরনের কোনো অনিয়ম পাইনি। বিক্রির সাথে ক্রয়ের খুব একটা তফাৎ নেই।
আরও পড়ুন: ইজতেমায় ১৭ স্পেশাল ট্রেন
আড়তদারদের পালিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে কৃষি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো কিছুর দাম বাড়লে ভোক্তা অধিকার কিছু বুঝে না বুঝে আমাদের জরিমানা করত। আমরা তাদের বুঝাতাম সমস্যা টা কোথায়, তারপরও তারা বুঝত না।
তিনি আরও বলেন, তারা জরিমানা করে, সেজন্য আমাদের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক। লোকগুলো কাছাকাছি আছে, পালিয়ে যায়নি।
উল্লেখ্য, নির্বাচন পরই হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে যায়। বাজারের লাগাম টেনে ধরতে তেমন কোনো তৎপরতা দেখা না গেলেও গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চালের দাম অস্বাভাবিক বলার পর দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সান নিউজ/এনজে