নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার মার্কিন ভিসা বিধিনিষেধ নিয়ে চিন্তিত নয়। কেননা যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুন্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত থাকা বাংলাদেশি ব্যক্তিদের ওপর এটি প্রয়োগ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
আরও পড়ুন : যুদ্ধ ও স্যাংশনের পথ পরিহার করুন
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে গুলশানে নিজ বাসভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী , ‘আমাদরে হারানোর কিছু নেই, আমরা এটা নিয়ে চিন্তিত নই কেননা আমরা কিছু ভুল করছি না।’ তিনি বিষয়টিকে সুখকর অভিজ্ঞতা নয় বলে অভিহিত করে বলেছেন ‘এর মধ্য দিয়েই আমাদের যেতে হবে।’
আরও পড়ুন : ইউক্রেন বিজয়ে রুশ আগ্রাসন শেষ হবে
শাহরিয়ার আলম বলনে, ওয়াশিংটন নতুন ভিসা নীতির অধীনে তাদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ঢাকাকে অবহিত করেছে। বাংলাদেশের লক্ষ্য অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং তার প্রতি সমর্থনের লক্ষে যুক্তরাষ্ট্র এটা করছে।
তিনি বলেন, ‘এর আগে কিছু রাজনৈতিক দল এটা প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিল যে, মার্কিন ভিসা বিধিনিষেধ কেবলমাত্র সরকারি দলের ওপর আরোপ করা হবে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করেছে যে, নতুন নীতিটি সব ক্ষমতাসীন ও বিরোধী উভয় রাজনৈতিক দলের জন্যই প্রযোজ্য।’
আরও পড়ুন : ৬ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রত্যাশা মার্কিন সরকার সঠিক তথ্য ও পরিসংখ্যান যথাযথভাবে পর্যালোচনা করে নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি বাস্তবায়ন করবে।
তিনি বলেন, ‘যদি দেখা যায় যেকোনো বিশেষ ব্যক্তির ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের জন্য আমাদের (সরকারি) কাজ সম্পাদনে সমস্যা হচ্ছে, তবে ঢাকা এ ধরনের বিষয় নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা করবে।’
আরও পড়ুন : আগামীতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কতজন ব্যক্তি ভিসা নীতির আওতায় এসেছে ওয়াশিংটন সে বিষয়ে ঢাকাকে একটা ধারণা দিয়েছে এবং ‘আমি আপনাকে কী বলতে পারি খুবই সংখ্যাটি কম।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, সরকারের বিশ্বাস আগামী নির্বাচন বানচালে জড়িত থাকায় বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন : পর্যবেক্ষণ সংস্কৃতি বন্ধ হওয়া উচিত
তিনি বলেন, বিদ্যমান সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী একটি অবাধ সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।
সান নিউজ/এমআর