নিজস্ব প্রতিবেদক : বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার ও তল্লাশি এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করলে সেটাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সাজার বিধান রেখে বহুল আলোচিত ‘সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩’ পাস হয়েছে।
আরও পড়ুন : দেশে খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষিত
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলের বিভিন্ন ধারার সমালোচনা করে বিরোধী দলীয় সদস্যরা বলেন, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের স্বীকৃতি সংবিধানেই দেওয়া হয়েছে। অথচ এই বিলের বিভিন্ন ধারায় সংবিধান স্বীকৃত এসব অধিকার খর্ব করার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা হয়েছে। একাধিক সদস্য বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও তল্লাশির বিধান সংশোধনের দাবি জানান।
আরও পড়ুন : ডেঙ্গুতে ১৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৯৪৪
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংবিধান স্বীকৃত হলেও অবারিত নয়। স্বাধীনতা মানে কিন্তু অন্যের অধিকার ক্ষুণ্ন করা নয়। আপনার স্বাধীনতা মানে যা ইচ্ছে তা বলা নয়। অন্যকে অসম্মান করা নয়। নারীকে অশ্লীল কথা বলা নয়। এসব বিষয় নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, আইনটির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিরোধী সদস্যরা একমত পোষণ করছেন। স্বচ্ছতা, জবাবহিদিতা ও নিরাপদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন : লিবিয়ায় বন্যায় ৬ বাংলাদেশির মৃত্যু
দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রদ করে সরকার সাইবার নিরাপত্তা আইনের উদ্যোগ নেয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে ওঠার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
আইনটির খসড়া প্রকাশের পর থেকেই মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন বলে আসছে, সাইবার নিরাপত্তা আইনও কার্যত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মূল বিষয়বস্তু বহাল রাখা হচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মতোই এই আইন।
সান নিউজ/এমআর